• ঢাকা
  • রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কক্সবাজার সৈকত থেকে তোলা হলো সেই তিমির কঙ্কাল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৪৮ পিএম
কক্সবাজার সৈকত থেকে তোলা হলো
তিমির কঙ্কাল

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে প্রায় তিন বছর আগে পুঁতে রাখা সেই মরা তিমির কঙ্কাল অবশেষে তোলা হলো। শিক্ষা ও গবেষণায় কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট(বোরি) তিমির কঙ্কালটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। কঙ্কালটি উত্তোলনের পর বোরিতে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া জানিয়েছেন, এদিন ৬টায় শতভাগ খনন কাজ শেষ হয়েছে। 

কঙ্কালটি বোরিতে নেয়া হয়েছে।এর আগে সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদা রশীদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বোরির বিজ্ঞানীরা সেই তিমির কঙ্কালের খোঁজে হিমছড়ি সৈকতে খনন কাজ শুরু করে।  বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ খনন কাজ শেষ করা হয়। বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুরোপুরি খনন কাজ শেষ করে তিমিটির কঙ্কাল সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে। 

আলাদা আলাদা হাড়গুলো বিশেজ্ঞদের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে কঙ্কালের পরিপূর্ণ রূপ দেওয়া হবে। এতে জানানো হয়, গত ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল সামুদ্রিক জোয়ারের সঙ্গে ৪৪ ফুট দীর্ঘ এই মরা তিমিটি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে। এরপর বনকর্মীরা তিমিটি হিমছড়ি সৈকতের বালিয়াড়িতে ১০ ফুট গর্ত করে পুঁতে ফেলা হয়। 

এর আগের দিন ৯ এপ্রিল একই সৈকতের চার কিলোমিটার উত্তরে দরিয়ানগরে আরও একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ৪৮ ফুট দীর্ঘ সেই তিমিটিও বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়। বোরির বিজ্ঞানীরা তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) পরীক্ষার জন্য পাঠায়। প্রতিবেদনে তিমি দুটি ব্রাইড’স হুয়েল বা বলিনোপেট্রা ইডেনি প্রজাতির বলে চিহ্নিত হয়েছে। 

৯ এপ্রিল ভেসে আসা তিমিটি নারী লিঙ্গের এবং ১০ এপ্রিল ভেসে আসে তিমিটি পুরুষ লিঙ্গের।ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, গবেষণা কাজে সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) কর্তৃপক্ষ তিমি দুটির কঙ্কাল উত্তোলনের জন্য বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে তিমি দুটির কঙ্কাল দুই প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

এর মধ্যে বোরিকে বরাদ্দকৃত তিমিটির কঙ্কাল মঙ্গলবার থেকে উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তিমিটির ৯০ শতাংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে অপর অঙ্গগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের এ মহাপরিচালক বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্যে তিমির কঙ্কাল বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। এ দিকে গত বছরের ১৮ এপ্রিল কলাতলী সমুদ্রসৈকতেও একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ব্রাইড’স হুয়েল প্রজাতির এই তিমিটিও বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ড. তৌহিদা রশীদ আরও জানান, শনিবার থেকে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটে দুই দিনব্যাপী সমুদ্রবিষয়ক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ৩ শতাধিক বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা তিনটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। শনিবার থেকে উত্তোলিত তিমিটি সর্ব-সাধারণের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image