• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত লেবুখালী পায়রা সেতু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:১৫ পিএম
দর্শনার্থীদের পদচারণায় পায়রা সেতু
পায়রা সেতুতে দর্শনার্থীদের পদচারণা

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি, বরিশাল :  ঈদের দিন বিকেল থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা এসে ঈদ উৎসবে মেতে উঠেছে পায়রা সেতুতে। এক্সট্রাডোজড কেবল স্টেইড প্রযুক্তিতে দেশের দ্বিতীয় পায়রা সেতু। সেতুটি ইতোমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপরে যুক্ত করেছে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার সাথে। বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে অর্থনীতিতে।

এটি চালু হওয়ায় দেশের যে কোন স্থান থেকে সর্বদক্ষিণে উপকূলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়ে গেছে। সড়ক পথের যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ভোগান্তি কমেছে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলবাসীর। পর্যটকদের জন্য বড় একটি আকর্ষণ সেতুটির উত্তর পাড়ে বাকেরগঞ্জ লেবুখালী পশ্চিমা পাশেই গড়ে উঠেছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। দিনে দিনে সম্প্রসারণ ঘটছে নানান ধরনের ব্যবসায়। এখন কেবল চোখের সামনে আলাদীনের চেরাগের মতো দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিবর্তন শুরু হয়েছে।

সেতুটি বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর উপর দিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা হয়ে বয়ে গেছে দুমকি উপজেলার উপর দিয়ে পটুয়াখালী। সেতুটির কাছাকাছি উপজেলা বাকেরগঞ্জ, দুমকি, বগা, বাউফল, কাঠালতলী, বেতাগী মির্জাগঞ্জ, নলছিটি সহ বেশ কয়েকটি জেলা উপজেলা শহরে নেই তেমন কোন পার্ক কিংবা পর্যটন কেন্দ্র। বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের উপর পায়রা নদীতে নির্মিত এই সেতুই এখন বিভিন্ন জেলা উপজেলা বাসীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র।

দৃষ্টিনন্দন সেতুটিতে উৎসবে আনন্দ করতে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে আসেন। ঈদের দিনেই ঝড় বৃষ্টি মেঘলা আবহাওয়া উপেক্ষা করে এখনও চলছে হাজার হাজর মানুষের ঢল। ঈদের দিন থেকেই আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণ পর্ব চলছে। একইসঙ্গে চলছে ঘুরে বেড়ানো।

পায়রা সেতুর কাছাকাছি কয়েকটি উপজেলায় খোলা জায়গা, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদ উদযাপনের সঙ্গী হয়েছে এই সেতুটি। দেখে মনেই হয় না এ শহরে কোনো দুঃখ আছে। এ যেন আনন্দ নগরী। এ উৎসব যেন ফুরোবার নয়। উৎসবের রঙটা মূলত ছড়িয়ে দিচ্ছে শিশু-কিশোররা। ঈদের দিন থেকেই নারী- শিশুসহ দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভিড় দেখা গেছে।

রাতের নয়নাভিরাম পায়রা সেতু, মুগ্ধ করে সবাইকে পায়রা সেতু দক্ষিণ অঞ্চলের এখন নতুন একটি পর্যটন ও বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে। ঈদের ছুটিতে সকাল বিকেল ও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। পরিবার ও বন্ধু বান্ধবসহ ঘুরতে আসছেন অনেকে। এক্সট্রাডোজ ক্যাবলে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন স্বপ্নের সেতুর সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলছেন দর্শনার্থীরা। সেতু কেন্দ্রিক আগত নারী-শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

সেতুতে দায়িত্বে থাকা দুমকি থানার পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক জানান, সেতুর দুই পাড়ে দুমকি উপজেলা ও বাকেরগঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র পায়রা সেতু। ঈদের দিন থেকে শত শত মানুষকে সামাল দিতে হচ্ছে। অনেক শিশু কিশোর বাইকার উপচে পড়া পর্যটকদের মধ্যে সীমা লঙ্ঘণ করে আসার চেষ্টা করছেন, তাদের প্রতিহত করতে আমরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করছি।

এসব মানুষের উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে সেতুটি উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে ব্যস্ততম সড়কে জনসাধারণের পারাপারে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর দক্ষিণ পাড়ে টোল প্লাজার আগে স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের রাস্তা পারাপারের জন্য একটি ওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / মোঃ জাহিদুল ইসলাম /কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image