
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত সেই গোলাপ মিয়া মারা গেছেন।শনিবার রাতে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গোলাপ মিয়া তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
বিপক্ষের মামলায় গোলাপ মিয়ার ছোট ছেলে মেহেদী (১৮) জেল হাজতে আটক রয়েছে। অপর দুই ছেলে হানিফ ও এরশাদ সংঘর্ষে আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত গোলাপ মিয়ার বৃদ্ধ মা আমেনা বেগম তার সন্তানের খুনের সাথে জড়িত বাছির, নাছির, নছর, মজিবুর, হাবীবুর, কবির, তাজু মেম্বার, নজু, রুবেল, মালেক মেম্বারসহ সকলের ফাঁসি দাবি করেন।
গোলাপ মিয়ার মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাদেকপুর গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার কথা জানিয়ে নবীনগর থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাদেকপুর গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার সন্ধ্যায় সাদেকপুর বাজারে নছর মিয়ার লোকজন গোলাপ মিয়ার উপর আক্রমণ করে, এই সংবাদ পেয়ে গোলাম মিয়ার লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গোলাপ মিয়ার বুকের পাশে টেটাবিদ্ধ হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়।
সংঘর্ষে গত বৃহস্পতিবার নবীনগর থানায় দু’টি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। ওই দিনই দুই মামলায় দু-পক্ষের ১১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: