• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি খুনে ৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:০৪ পিএম
কুনিও হোসি খুনে ৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল
জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি

নিউজ ডেস্ক : রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ৫ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেএমবির পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, বগুড়ার গাবতলী এলাকার লিটন মিয়া ওরফে রফিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব ও গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন।

খালাস পেলেন পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইল পাড়ার ইছাহাক আলী।

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাঁচ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়।   

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, এ মান্নান ও জাকির হোসেন মাসুদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছিল।

২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি হত্যার দায়ে জেএমবির পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যু দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব ও সাখাওয়াত হোসেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লব পলাতক। হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারিক আদালতে খালাস পান পীরগাছার কালীগঞ্জ বাজারের আবু সাঈদ।

চার্জশিটভুক্ত আট আসামির মধ্যে অন্য দুজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাদের মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়। নিহতরা হলেন- পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গজপুরি এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান। ২০১৬ সালে অভিযোগ গঠনের আগে ১ আগস্ট রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি। অভিযোগ গঠনের পরে ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চর বিদ্যানন্দ এলাকার সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল ওরফে চঞ্চল ওরফে সবুজ ওরফে রবি।

জেএমবির ওই আট জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী। পরে মামলাটি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে স্থানান্তরিত হলে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। মামলায় বাদীপক্ষের ৫৫ জন সাক্ষী ও আসামিপক্ষের একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় গুলি করে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির জঙ্গিরা।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image