নিজস্ব প্রতিবেদক : স্ট্যান্ডার্ড ফিনান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ বিনা জামানতে ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে অর্থ আত্মসাত করে আসছে এমন একটি সংস্থার সন্ধান পেয়েছেন জামালপুর জেলা পুলিশ।
জানা গেছে, ঢাকার বনানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে সাধারন মানুষের নিকট থেকে বিনা জামানতে ঋন প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তারা বিপুল পরিমানে অর্থ আত্মসাত করে আসছে।
বুধবার (২২ মে) সকালে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, জামালপুর শহরেও কিছুদিন পূর্বে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শাখা খুলে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ করে এবং তাদের নিকট থেকে জামানত বাবদ এক লক্ষ টাকা করে গ্রহন করে। প্রত্যেক কর্মীকে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ত্রিশ লক্ষ টাকা ঋন বিতরণ করার টার্গেট প্রদান করে এবং প্রত্যেক ঋণগ্রহীতার নিকট হইতে ঋণ বিতরণের পূর্বে চাহিদা অনুযায়ী ঋনের বিপরীতে ১০ শতাংশ অগ্রীম টাকা এবং ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে জমা করতে হবে মর্মে শর্তারোপ করেন।
পরবর্তীতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের নিয়োগপত্র প্রদানের কথা বলে কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও তাদের কোন বেতন ভাতা প্রদান করে নাই। গত ২১ মে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জামালপুর শাখা উদ্বোধন করার কথা এবং কর্মীদের যোগদানপত্র প্রদান করার কথা ছিল। এমতাবস্থায় সকাল ১০ টার সময় প্রত্যেক কর্মী অফিসে যোগদান করার নিমিত্তে শহরের তমালতলা মোড়ে সওদাগর ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফিন্যান্স এন্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপরেটিভ সোসাইটি লিঃ, জামালপুর শাখা অফিসে আসেন। একই দিন দুপুর ১২ টায় জামালপুর শাখার ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম কর্মীদের অফিসে যোগদান না করিয়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করে। এতে কর্মীদের মধ্যে ধারনা জন্ম নেয় যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের এমডিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরস্পরের যোগসাজসে কর্মীদের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতাদের প্রতিশ্রুত ঋণ প্রদান না করে তাহাদের নিকট হইতে ঋণের ১০ শতাংশ অগ্রীম টাকা, ১ পার্সেন্ট সার্ভিস চার্জ সংগ্রহ করিয়া এবং কর্মীদের প্রদত্ত জামানতের টাকা আত্মসাত করে পলায়ন করার পরিকল্পনা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বিষয়টি জামালপুর জেলা পুলিশের নজরে আসলে কর্মীদের নিকট প্রাপ্ত তথ্য যাচাই পূর্বক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে জামালপুর থানার মামলা নং ৪৭, তাং-২১/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪২০/১০৯ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, ভূয়া সংস্থাটির বিষয়ে জিজ্ঞেসবাদের জন্য সদর থানা পুলিশ ৬ জন কর্মী এবং ১ জন পিয়নকে থানা হাজতে রেখেছেন। জামালপুর পুলিশ এই ভূয়া সংস্থাটির উর্ধতন কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন: