নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে (ভার্চুয়াল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের ৮৫ জন গুনী ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করেন। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গত আট বছরের জন্য ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে ৮৫জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এদের মধ্যে রয়েছেন ৮৬জন ক্রীড়াবিদ ও ৩৯ জন ক্রীড়া সংগঠক।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে পেয়েছেন একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র।
২০২০ সালের খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসাবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাচ্ছেন (মরণোত্তর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেঝ ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শহিদ লে. শেখ জামাল। তার পক্ষে এই পুরস্কার নেবেন পরিবারের সদস্য এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ জুয়েল। জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে, শেখ জামালের পুরস্কারটি গ্রহন করবেন সাংসদ শেখ জুয়েল।’
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৩ সালের জন্য ৪৯টি, ২০১৪ সালের জন্য ৫৩টি, ২০১৫ সালের জন্য ৩০টি, ২০১৬ সালের জন্য ৩৩টি, ২০১৭ সালের জন্য ৩৯টি এবং ২০১৮ সালের জন্য ৫৮টি ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য ৭৮টি সহ মোট ৩৪০ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকের আবেদন পত্র জামা দেন।
সেখান থেকেই তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয় মোট ৩টি কমিটি গঠন করে। যাচাই-বাছাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে তারা। তালিকাটি জাতীয় বাছাই কমিটির কাছে পাঠানো হয়। জাতীয় বাছাই কমিটি ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জন হ সর্বমোট ৮৫ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেয়ার সুপারিশ করেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: