সুমন দত্ত: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের জন্য গমের বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে। তবে সরকার বিকল্প ব্যবস্থায় গম আমদানি করবে। গমের সরবরাহ ঠিক রাখতে চায় সরকার। পেয়াজের সরবরাহ বন্ধ থাকলে দাম বেড়ে যায়। পেঁয়াজের দাম চড়া হলেও ক্রয়সীমার মধ্যেই রয়েছে। সোমবার সকালে সচিবালয়ের বিএসআরএফ সংলাপে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এসময় টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন স্থিতিশীল। স্থিতিশীল বলতে দাম চড়া হলেও ক্রয়সীমার মধ্যেই রয়েছে। গম সম্পর্কে মন্ত্রী বলে, আমরা গম রপ্তানি করে এমন ছয়টি দেশের সঙ্গে কথা বলেছি। খাদ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখছে। ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর চাহিদার বিষয়ে তাদের একটি বিশেষ বিবেচনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বলা যায় না ভারত বাংলাদেশে গম রপ্তানি করবে না। তাছাড়া ইউক্রেনে যেসব গম, আটকা পড়ে আছে সেগুলো দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা চাইবে না তাদের দেশের গম পড়ে পড়ে নষ্ট হোক।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নিত্যপণ্য নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। জানা দরকার, বাংলাদেশও বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার। দেশের চাহিদা পূরণ করতে ৯০ শতাংশ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়, সুতরাং বিশ্ববাজারের দামের ওপর নির্ভর করতে হয়।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছিল, রোজার আগে বা ঈদের আগে দাম যেন না বাড়ে। ব্যবসায়ী বলতে মূলত ডিলার ও পাইকাররা সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। সংকট মোকাবেলায় সরকার তৎপর রয়েছে। যেকোন উপায়ে যেন সংকট কাটে সেই ব্যবস্থা করবে সরকার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে গমের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রভাব পড়েছে সূর্যমুখী তেলেও। পাম অয়েলের উৎস (মূলত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া) সীমিত হয়ে গেছে। তবে সামনে তা বাড়বে বলে আশা করছি। এসময় জুন থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আবারও ন্যায্যমূল্যে ১ কোটি পরিবারের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ নিত্যপণ্য বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সরকার চায়, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদায় বৈচিত্র্য আসুক।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: