• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শার্শার শফিকুল লাউ চাষে স্বাবলম্বী 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৪২ পিএম
শার্শার
শফিকুল লাউ চাষে স্বাবলম্বী 

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম হাইব্রিড জাতের গোল ও লম্বা লাউ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বীজ বপনের ৬০ দিনের মধ্যে তিনি ভালো ফলন পেয়েছেন।

তিনি চাষে জৈবের সঙ্গে সামান্য পরিমান রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছেন। তার এ সফলতা দেখে অন্য সবজি চাষিরা লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

এর আগেও লাউ চাষে বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন শফিকুল।

সরেজমিন দেখা যায়, শফিকুল বিষ প্রয়োগ ছাড়াই এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে মাচায় হাইব্রিড জাতের লাউ চাষ করেছেন। তার লাউ খেতে মাচার নিচে ঝুলছে ছোট-বড় শত শত সবুজ লাউ। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এ লাউ চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। বিষমুক্ত লাউ চাষের কারণে বাজারে তার লাউয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার শ্যামলাগাছী, কাঠুরিয়া, জিরেনগাছা, গাতিপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, শিয়ালকোনা ও বসতপুর গ্রামের কৃষকদের লাউ চাষের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, লাউ চাষে কোনো ধরনের বিষ প্রয়োগ করেননি। অল্প শ্রম, পুঁজি ও সীমিত জমিতে লাউ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। বাজারে লাউয়ের চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন। সপ্তাহে দুই দিন এই খেত থেকে লাউ কেটে বিক্রি করেন।

শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি প্রায় লাখ টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাশাপাশি ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারলে এই খেত থেকে আরও তিন থেকে চার হাজার লাউ উৎপাদন হবে। গড়ে প্রতিটি লাউ ৩০ টাকা দরে বিক্রি করলেও আরও এক লাখ টাকা ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

তিনি আগামীতে আরও বড় পরিসরে লাউয়ের পাশাপাশি বিষমুক্ত ও নিরাপদ অন্যান্য সবজি চাষ করতে চান বলেও জানান।

শার্শার নাভারন বাজারে আড়তদার নজির মিয়া বলেন, লাউ একটি উপকারী সবজি হওয়ায় বাজারে লাউয়ের চাহিদা বেশি থাকে। সাপ্তাহিক হাটের দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা প্রচুর লাউ নিয়ে আসেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শার্শার উৎপাদিত লাউ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, এবার লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে লাউ চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কম খরচে লাভজনক আবাদ হিসেবে লাউ চাষ প্রতি বছরই বাড়ছে।

তিনি আরও জানান, কৃষি অফিস কৃষকদের উন্নত জাতের লাউ বীজ সরবরাহের পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখছে। বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। মানবদেহের জন্য নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আমরা কৃষককে উদ্বুদ্ধ করছি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image