
জাফর আলম,কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় প্যাকেটজাত জুস পান করার পর একই পরিবারের ছয় শিশুসহ আটজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অচেতন অবস্থায় রাতে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সবার জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে জুস পান করার কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন কিনা- তা পরীক্ষা করতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার আবু বক্করের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অসুস্থরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার আবু বকরের মেয়ে নাসিমা আক্তার ও সেলিনা, আবু বকরের ভাই আব্দুর রহিমের মেয়ে শিশু রাফিয়া, রাফসানা, নাজমা ও ছেলে রামিম এবং জসিম উদ্দিনের ছেলে শিশু শাওন ও মো. জালালের ছেলে শিশু জিসান।স্বজনদের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আবু বক্র বাড়িতে তাদের এক আত্মীয় বেড়াতে আসেন। ওই অতিথি আসার সময় দোকান থেকে শুকনো খাদ্যপণ্যের সঙ্গে বড় আকারের একটি জুসের প্যাকেটও কিনে আনেন। পরে এই জুস বাড়ির লোকজন পান করেন। এর কিছুক্ষণ পর জুস পানকারী সবাই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’অসুস্থদের শিশুদের চাচা জহির আহমেদ বলেন, ‘বেড়াতে আসা আত্মীয়ের আনা প্যাকেটজাত জুস পান করার দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে আটজনই অসুস্থতা অনুভব করে। একপর্যায়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়ে।
পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে হ্নীলা স্টেশনের স্থানীয় একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাদের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে তাদের রেফার করা হয়।’তবে যে জুস পান করা হয়েছে সেটির প্যাকেটের গায়ে থাকা উৎপাদনের মেয়াদ চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, ‘রবিবার রাত ১২টার দিকে টেকনাফ থেকে অবচেতন অবস্থায় শিশুসহ আটজনকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের জ্ঞান ফিরে।অসুস্থ আটজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় তারা মানসিকভাবে বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন।’অসুস্থ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষা ছাড়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে খাদ্যের বিষক্রিয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া গেছে। এটা কী কারণে হল জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর বলা যাবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: