
নিউজ ডেস্ক: কর্মচঞ্চল ব্যস্ত জীবন ভুলতে বসেছে শিকঁড়ের কথা। যান্ত্রিক সভ্যতার ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যাচ্ছে পিঠার ঐতিহ্য। আবহমান বাংলার এই লোকজ ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রজন্মের পরিচয় করাতে রংপুরে চলছে পাঁচদিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব। প্রথমবারের মত জাতীয়ভাবে রংপুর টাউনহল মাঠে বসেছে পিঠার পসরা।
পাঁচদিনব্যাপী এই উৎসবে ৩০টি স্টল নিয়ে অংশ নিয়েছেন বিভাগের ৮ জেলার পিঠা প্রেমীরা। পুলি, ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, নকশা, পাকন, শামুক, নোনাশ, হৃদয় হরণ, গুড়গুড়িসহ অন্তত ৬৫ রকম পিঠার স্বাদ মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে দর্শনার্থীদের।
শীতের বিদায় আর বসন্ত বিকেলে এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বাঙালি লোকজ ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে।
পিঠা কেবল উৎসবের খাবার নয়, বরং এটি বাঙালি জীবনের চিরায়ত সংস্কৃতি। যা চর্চায় মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ রোধ হতে পারে বলে জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, 'জঙ্গিবাদকে রুখবার জন্য এই একটা মাত্র মাধ্যমই আছে। সংস্কৃতিতে সব পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ্য করে দেখবেন কোন সংস্কৃতিকর্মী জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত নয়।'
কালের বিবর্তনের হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সংস্কৃতি। তাই শহুরে সমাজে ঐতিহ্যের ধারা অম্লান রাখতে বাহারি স্বাদের পিঠা উৎসব জন্ম দেবে নতুন এক অনুভূতির-এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: