ডেস্ক রিপোর্টার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর জোগান বেশি আছে। প্রয়োজনে যেকোনো জায়গা থেকে পশু বিক্রি করা যাবে।
বুধবার (১৪ মে) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ, অবৈধ পথে পশু আনা ঠেকানোসহ সার্বিক বিষয়ে সচিবালয়ের নিজ দফতরে ব্রিফ করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগে কোরবানির পশু হাটে বিক্রির নিয়ম ছিল। এখন আমরা বলেছি, কোরবানির পশু রাস্তায়ও বিক্রি হতে পারবে, বাড়িতেও বিক্রি হতে পারবে। যে যেখানে বিক্রি করতে চায়। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভেই যেন নিজেদের পছন্দের পশু উপযুক্ত দামে কিনতে পারেন, প্রতারিত না হন, সেই জায়গা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে রাস্তায় বাজার বসিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।
অনেক সময় হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা বিক্রেতাদের বলেন, এত পশু আজকে বাজারে আনিস না, কালকে আন। মানুষরে বুঝতে দে বাজারে পশু নাই। তাইলে দাম ভালো পাবি। এভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে থাকেন। তাই আমরা বলে দিয়েছি, কেউ রাস্তায় বিক্রি করতে চাইলে সেটাও পারবেন, বাড়িতে পারবেন, যেখানে ইচ্ছা সেখানেই বিক্রি করতে পারবেন।’ কাউকে বিক্রিতে কোনো বাধা দেয়া হলে ৯৯৯ বা স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে জানাতেও অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদ সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা
রাস্তার ওপর বাজার বসানো যাবে না, এমন নির্দেশনার প্রতি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কেউ একজন পশু বাজারে নিয়ে যাচ্ছে, রাস্তায় কারো দেখে সেটা পছন্দ হলো। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বেচাকেনা হলো- রাস্তায় বিক্রি বলতে এমনটা বুঝিয়েছি। বাজার বসিয়ে পশু বিক্রি করা বোঝাইনি।’
অনলাইন পদ্ধতিতে পশু বেচাকেনা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। জানান, অনেক সময় অনলাইনে লাইভ ওয়েট দেখে পশু কেনার পর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ওজন কম। এই বিড়ম্বনা এড়াতে বলে দেয়া হয়েছে, ডেলিভারির পর টাকা নেবে অনলাইন বিক্রেতারা। যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়।
এবার দেশে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে এক কোটি তিন লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। আর প্রস্তুত রয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। চাহিদার বাইরে গিয়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২১ লাখ ৪১ হাজার পশু উদ্বৃত্ত আছে বলেও জানান শ ম রেজাউল করিম।
বড় বাজারে পশু চিকিৎসক থাকার কথা জানিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের পশু চিকিৎসক কম। ফলে সব বাজারে দেয়া সম্ভব না। বড় বাজারগুলোতে পশু চিকিৎসক থাকবে। কেউ চাইলে তারা তাৎক্ষণিক পশু সুস্থ না অসুস্থ তা বের করে দেবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: