সুমন দত্ত: ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে লঞ্চ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বাসিন্দা মোঃ বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা ও তাদের চার বছরের মেয়ে মাইশা, ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর বাসিন্দা রিপন হাওলাদার (৩৮) বলে নৌ-পুলিশ সুপার মো. এবং অপারেশন আশিক সাইদ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির জানান, বেলা ৩টার দিকে পন্টুন ১১টায় এমভি ফারহান-৬ দুটি নোঙর করা লঞ্চ এমভি তাসরিফ-৪ এবং এমভি পূবালী-১ এর মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, লঞ্চে ওঠার সময় এমভি তাসরিফের নোঙরের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচজনকে আঘাত করে।
তিনি আরও বলেন, তারা পাঁচজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নৌ পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, এমভি তাসফিরকে ধাক্কা দেওয়া এমভি ফারহান-৬ এর চালকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে তারা।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিআইডব্লিউটিএ এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করে এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর ক্রয় ও স্টোর বিভাগের পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে এবং অপর দুই সদস্য হলেন সংরক্ষণ ও পাইলটেজ বিভাগের যুগ্ম পরিচালক এস এম আজগর আলী এবং বন্দর ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোঃ কবির হোসেন।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং বিচার নিশ্চিত করা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: