ডেস্ক রিপোর্টার: ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে যোগ দিতে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের ঢল নেমেছে। মধ্যরাত থেকেই উপচেপড়া যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ছে একের পর এক লঞ্চ।
অতিরিক্ত ভিড়ে যাত্রীদের ভোগান্তিও ছিল চরমে। ছিল যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ।
রোববার (০৮ মে) ভোরের আলো ফোটার আগেই ঢাকায় ফেরা লঞ্চের সারিতে ভরে যায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের সব পন্টুন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আবারও ইট-পাথরের যান্ত্রিক শহরে ফিরছেন কর্মজীবীরা।
রোববার ভোর থেকেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে সদরঘাটে ভিড়তে থাকে একের পর এক লঞ্চ। করোনাভীতি কাটিয়ে দীর্ঘ দুবছর পর স্বজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে সবার মুখেই স্বস্তির ছাপ ছিল।
যাত্রীরা জানান, ঈদ ভালোই কেটেছে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে।
তবে গাদাগাদি করে লঞ্চে যাত্রীবহনে ভোগান্তি ছিল চরমে। অধিকাংশ লঞ্চই সময়মতো সদরঘাটে না পৌঁছানোয় ভোগান্তি বাড়ে বহুগুণ।
তারা বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে দেরিতে লঞ্চ ছেড়েছে। বসার জায়গা পাওয়া যায় না। দুই হাত জায়গা ২০০ টাকা দিয়ে কিনে বসতে হয়েছে। যে টিকিটের দাম ছিল ৪০০ টাকা সেখানে তারা ৫০০ টাকা নিয়েছে।
যাত্রীরা বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর সুযোগে লঞ্চ মালিকরাও আদায় করেছেন বাড়তি ভাড়া। তবে নৌপুলিশের দাবি, এবারের ঈদযাত্রা ছিল নিরাপদ ও স্বস্তির।
সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম আলী সরদার সময় সংবাদকে বলেন, কোথায় কোনো দুর্ঘটনার সংবাদ নেই। পিক পিকেটিংয়ের খবর আসেনি। এবারে ঈদ যাত্রা সবার জন্য শুভ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: