• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৬ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

প্রথম ১৪ লেন সড়ক, নতুন পথচলা কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোড


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৯ এএম
দেশের প্রথম
১৪ লেন সড়ক

নিউজ ডেস্ক : কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম ১৪ লেনের সড়ক। এ রোডে পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র আট থেকে দশ মিনিট। এরই মধ্যে শেষ ৯৭ শতাংশ কাজ, সেপ্টেম্বরেই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

নতুন পথের যাত্রা, নতুন পথচলা কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোড। দেশের প্রথম ১৪ লেনের সড়ক। তার ওপর আধুনিক নির্মাণশৈলি আর নান্দনিকতা এই পথকে এগিয়ে রাখবে আরও আগে। অদম্য বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা যেনো এ পথেই শুরু। যেনো দিনবদলের সনদ হাতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সড়ক চট্টগ্রাম, সিলেট ছাড়াও আশপাশের জেলার সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের পথ তৈরি করবে। আগামীর বাংলাদেশের জন্য যা হবে পথপ্রদর্শক।

কুড়িল থেকে পূর্বাচলের শেষ প্রান্ত ১২.৩ কিলোমিটার। মাঝের আটটি লেন এক্সপ্রেসওয়ে। ৬ লেন সার্ভিস রোড। দেশের প্রথম ১৪ লেনের সড়ক হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় এর আগে দেখা মেলেনি এমন পথের।

পাখির চোখে দেখলে নজর আটকে যাবে পাঁচটি এ্যাডগ্রেডইন্টার সেকশনে। মহাসড়কের পিচ ঢালাইয়ের কালো পথ ধরে এগিয়ে গেলে খানিক বাদেই দেখা মিলবে এ ইন্টারসেকশন।

নান্দনিকতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বালু নদীর ওপর ছটি সেতু। আর নজর কাড়বে কুড়িল থেকে দুই পাশে ১০০ ফিট খাল। উত্তর ও দক্ষিণের সংযোগে ১৩টি ব্রিজ এ পথের গুরুত্ব বাড়াবে বহুগুণে।
 
শুরুর আগেই নিরবচ্ছিন্ন এ পথের সুফল মিলছে। শেষ সময়ে এসে চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি। লাইট পোস্ট বসানো শেষ; শিগগিরই বসবে সড়কবাতি। বাকি আছে রোড মার্কিং, সৌন্দর্য বর্ধন।
 
প্রকল্প পরিচালক এম এম এহসান জামিল জানালেন, সার্বিক অগ্রগতি ৯৭ ভাগ। সব ঠিকঠাক থাকলে আসছে সেপ্টেম্বরেই উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রায় সাড়ে বারো কিলোমিটারের এ পথ রাজধানীতে আনবে নতুন গতি। পূর্বাচল নতুন শহর ও শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ হবে মসৃণ। ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, নরসিংদী, গাজীপুরে যে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ তৈরি হবে তাই যেন জানান দেবে আগামীর বাংলাদেশকে।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান মনে করছেন, ঢাকা বাইপাস হওয়ার পর এর পুরো সুফল পাওয়া যাবে। তখন বাইপাস ব্যবহারকারীরা এ এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের সুফল পাবে। এতে শুধু দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে এমন না, ঢাকার প্রবেশপথের ওপরও চাপ কমে যাবে। ঢাকার যানজটও কমে যাবে।

এ প্রকল্পকে সরকারের উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে এ যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, পূর্বাচলে আবাসন প্রকল্প হচ্ছে। এই পথে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। মানুষের চাপ বাড়ার আগেই সরকার যোগাযোগের এ মাইলফলকটি স্থাপন করতে যাচ্ছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image