নিউজ ডেস্ক : ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ইউনিট করে এবং শয্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গত কয়েক দশকে এবারই ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এরমধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও যুবকরা। আক্রান্তদের ৮০ ও মারা যাওয়াদের ৬০ শতাংশের বয়স ৪০ এর নিচে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এ অবস্থায় রোগীদের নিয়ে স্বজনদের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পর্যালোচনায় বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬০ শতাংশের বয়স ৪০ এর নিচে। একইভাবে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে আক্রান্ত হচ্ছেন ৮০ শতাংশ ৷
ডেঙ্গু আক্রান্তরা বলছেন, জ্বরসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়ার পরও চিকিৎসকের পরামর্শ না নেয়ায় সমস্যা অনেক বেশি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত তরুণরা জ্বর কিংবা সর্দি কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বাড়িতেই থাকেন ৷ সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় না হওয়ায় জটিলতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা দেরিতে নিতে আসার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সবার আরও সচেতন হওয়া জরুরি।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘উপসর্গ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়ে যেন কেউ কালক্ষেপণ না করে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৮.৫৭ শতাংশের হাসপাতালে ভর্তির ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: