• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রাতের সিদ্ধান্তের পরও শ্রমিকরা কাজে যায়নি, ফের আন্দোলনে উত্তাল শ্রীমঙ্গল


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২২ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:১৪ পিএম
শ্রমিকরা কাজে যায়নি
ফের আন্দোলন, উত্তাল শ্রীমঙ্গল

মোঃ জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার:  ফের  শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতিবাদে  উত্তাল  মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর,কুলাউড়া ও কমলগঞ্জের চা বাগানের অধিকাংশ চা বাগানগুলোতে শ্রমিকরা কাজে অংশ নেন নি৷

ইউনিয়ন থেকে আন্দোলন ফসকে গেছে শ্রমিকরা চা শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটির কারোও কথাতে চলছে না।  নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে।  বিছিন্নভাবে আজকে সিলেটের বিভিন্ন বাগানে মিছিল বের করেছে।  

গতকাল  রবিবার রাত ৯ টার দিকে  মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত না মেনে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন চা শ্রমিকরা৷ গতকাল রাত ৯ টায়  জেলা প্রশাসক ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক একটি সমঝোতা সাক্ষর হয় সেখানে চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকায় কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়,পাশাপাশি চা শ্রমিকদের সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের দাবী জানান চা শ্রমিকরা৷ কিন্তু ইউনিয়ন এসব দাবী মেনে কাজে ফেরার সিদ্ধান্তে এলেও সেই সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হতে দেখা যায় নি৷

সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের কিছু শ্রমিক কাজে যান কিন্তু অনান্য বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি৷ ভাড়াউড়া চা বাগানের কাজে যাওয়ার খবর ‌শুনে কালীঘাট বাগানের শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে৷ সেই মিছিল ভাড়াউড়া চা বাগান হয়ে শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা প্রদক্ষিন করে৷

এদিকে ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে সাধারন চা শ্রমিকরা  সাতগাঁও লছনা  চা বাগানের ঢাকা- সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ৩ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে৷ অবরোধে অংশ নেয় ৬টি চা বাগানের কয়েক হাজার চা শ্রমিকরা।  তাদের একটিই অভিযোগ   ইউনিয়ন নেতারা আমাদের সাথে সলাপরামর্শ না করেই তাদের মনগড়া কথা বলে আসছে।  বৈঠকে তারা রাতে যায় কেন।  ৭ টি ভ্যালী ও পঞ্চায়েত কমিটির সাথে কোন যোগাযোগ রাখছেন না।  প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ঘোষণা দিক তাহলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবো।  তাছাড়া হবে না।  তিনি মজুরির ব্যাপারে যা বলবেন আমরা তাই করবো।

লছনা চা বাগানে ইউপি সদস্য  শান্তনা বাড়াইক জানান, আমাদের কোম্পানি আমাদের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে না, আমাদের কে বিভিন্ন এনজিও থেকে স্বাস্থয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে।  আমাদের বাগানের কোন কোম্পানি কোন সুযোগ সুবিধা দেয় না।  আমরা আন্দোলন করাতে তলের বিড়াল বের হয়ে আসছে। আমরা সাধারণ শ্রমিকরা জানি না আমাদের কি কি সুবিধা চা বাগানে  আছে।  বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, সাধারন চা শ্রমিকরা কোন কিছু বুঝতে চাচ্ছে না৷ আমাদের দাবী তিনশ টাকাই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যা নির্ধারন করবেন আমরা সেটা মানবো৷ শ্রমিকরা আমাদের কথা শুনছে না, শুনলে তো বাগানে কাজ হতোই

 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image