মোঃ হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর): দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নকল ভুয়া কার্ড তৈরী করে টিসিবি‘র পণ্য নিতে আসছে অনেকেই। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে বিক্রয় প্রতিনিধিরা। তাদের সুপারিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে টিসিবি‘র পণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হক।
মঙ্গলবার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩১৭০ জন টিসিবি‘র কার্ডধারীর সুবিধাভোগীদের মাঝে টিসিবি‘র পণ্য বিক্রয় করা হয়। সকালে গোলাম মোস্তফা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সুজাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যথাক্রমমে ৪,৫,৬ ও ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের টিসিরি‘র পণ্য বিক্রয় শুরু হয়। বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্তরে ৭,৮,৯নং ওয়ার্ডের টিসিবি‘র সুবিধাভোগীদের মাঝে পণ্য বিক্রয় করা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনকে ভুয়া টিসিবি‘র কার্ডসহ আটক করে শর্তক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পৌর কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার মাসুদের এর সহযোগীতায় টিসিবি‘র ডিলার সোহরাব ট্রেডার্স এর মাধ্যমে এই টিসিবি‘র পণ্য বিক্রয় চলে। প্রতি একজন ৪৭০টাকার বিনিময় ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ১ কেজি সোলা বুট, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি মশুরের ডাল ক্রয় করেন।
টিসিবি‘র ডিলার সোহরাব হোসেন বলেন, আমরা পয়েন্টে একজন ভুয়া টিসিবি‘র কার্ডধারিকে পেয়েছি। তাকে ধরার পর আর কেউ এমন সাহস করতে পারে নাই। বিষয়টি আমরা ইউএনও স্যারকে অবহিত করেছি। দ্রুত সময়ে টিসিবি‘র কার্ডধারিদের সুবিধা অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তাহলে এমন সমস্যা আর থাকবে না।
ভুয়া কর্ডধারির বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার মাসুদ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, অনেক পয়েন্টে ভুয়া কাডধারীরা আসছে। তাদের কে আটক করে বুঝিয়ে বলছি যে,এভাবে এই টিসিবি‘র পণ্য পাওয়া সম্ভব নায়। বর্তমানে সে সকল উপকার ভোগী টিসিবি‘র সামগ্রী পায় তারা তা পেয়ে অনেক খুশি। তবে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ টিসিবি‘র কার্ড থেকে বঞ্চিত। শুনেছি সরকার আবার নাকি নতুন করে টিসিবি‘র কার্ড করবে। যদি নতুন কার্ড হয় তাহলে এই সমস্য গুলো শেষ হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: