• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই : কাদের


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:২০ পিএম
দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই

নিউজ ডেস্ক : ফখরুল সাহেব, তত্ত্বাবধায়ক চাইলে পাকিস্তানে চলে যান। দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মাঠে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) বেলা ১১টায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইউরোপ আমেরিকার প্রতিনিধিরা ঘুরে ঘুরে শুধু বাংলাদেশে আসছে। এই বছর ২০-২২টা দেশে নির্বাচন, সব ছেড়ে সবার নজর বাংলাদেশের ওপর। শেখ হাসিনার বড় দোষ সত্য কথা বলা। ১৫ আগস্টের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা, বড় বড় সত্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। আমরা অনেকে ভয় করি, নেত্রী কেন এসব বলেন, বিশ্ব মোড়লদের ক্ষেপাচ্ছেন। 

আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপের নেতাদের আমরা তো দাওয়াত করি না। কোথা থেকে এত মেহমান আসে। ইউরোপ-আমেরিকার মেহমান না বলে চলে আসে। আসতে চান আমাদের বলেন, আমরা আদর যত্ন করে রাখব। কী জানতে চান বলেন, প্রয়োজনে আমাদের জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। আপনারা কথা বলেন, ধমক মারেন, নিষেধাজ্ঞা দেন, ধমক দেন, এখন আবার ভিসানীতি দেন। কিন্তু এই হুমকি বিএনপির ব্যাপারে কেন বলেন না। ওখানে কি ভিসানীতি নেই?

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা তো নির্বাচন চাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নির্বাচনের আগে পরে শান্তি চাই। আপনাদের তো মূল কথা নির্বাচনে যে বাধা দেবে, তার বিরুদ্ধে ভিসানীতি। এই কাজ তো বিএনপি করছে। আমরা তো করছি না। যারা নির্বাচনের নামে আগুন সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করবে, আমরাও দেখব এই নিষেধাজ্ঞার মানে কী, এই ভিসানীতি কার বিরুদ্ধে প্রয়োগ হবে।

তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, তারেক রহমানকে বলেন, সাহস থাকলে দেশে আসতে। রাজপথে ফয়সালা হোক। আদালতের রায় আছে তার বক্তৃতা অনলাইন-অফলাইনে কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। প্রতিদিনই তিনি এগুলো করে যাচ্ছেন, এর কি কোনো বিচার নেই? 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিদেশেও চিহ্নিত। কানাডার আদালত বিএনপিকে পাঁচবার সন্ত্রাসী বলেছে। এই টেরোরিস্টদের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ। আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। আসুন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভোট দেব। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পতাকাকে উড্ডীন করব।

কাদের বলেন, ফ্যাসিবাদের জ্বলন্ত প্রমাণ বিএনপি। তারা এখন বলে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র, ফ্যাসিবাদী কাকে বলে। এটার পুরো চরিত্রই বিএনপির ক্ষমতার আমলকে পুরো ফুটিয়ে তোলে। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তারা করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলা মুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টানা ১৫ বছর চলে গেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বল্পোন্নত দেশ উন্নয়নশীল মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশের অর্জন পুরো বিশ্বে বিস্ময়। এটাই শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অপরাধ। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, নির্বাচন ব্যবস্থা যেটা শেখ হাসিনার হাতে জাতি পাচ্ছে, বিএনপি স্বপ্নেও সেটা পেরেছে?

কাদের আরও বলেন, তোমরা (বিএনপি) গণতন্ত্র ধ্বংস করছো, কোটি কোটি অর্থ পাচার করেছো, হাওয়া ভবনের লুটপাট করছো। দুর্নীতির কথা তোমাদের মুখে শোভা পায় না, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বিএনপি। তারাই এ দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, ভোট চুরির রাজনীতি শুরু করেছে, ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের সুবচন শুনতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস করে গণতন্ত্রের কথা বলে। দুর্নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে তারা দুর্নীতির কথা বলে। ঠাকুর ঘরে কে রে? ফখরুলের অবস্থা হয়েছে এখন তাই, কয়েকদিন ধরে দেখেছি, কান্নায় বুক ভেসে যায়। পানি খেতে খেতে চোখের পানি। আরও কান্না আছে। এক দফা তো খাদে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করে, এটা কি খাদ থেকে উঠতে পারবে? 

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির কর্মীরা হতাশ ছিল গ্রামে গ্রামে, তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়ে প্রতি সমাবেশে আসতে বলেছে। কাঁথা-বালিশ, মশারি, লোটা কম্বল নিয়ে আসতে বলেছে। ফখরুল বলেছে, অতিরিক্ত জামা-কাপড় লাগবে। মনে মনে স্বপ্ন ছিল পল্টনে বসেই যাবে। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনে দেখা না দিলে তারা উঠবে না। ফখরুল সাহেব, তত্ত্বাবধায়ক চাইলে পাকিস্তানে যান। দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিবিং লিগ্যাসি হিসেবে এই জনপদ যতদিন থাকবে তার নাম প্রতিধ্বনিত হবে। এটা বোধহয় সৃষ্টিকর্তার অমর সৃষ্টি। এই দেশের সবচেয়ে বড় সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর মুখ নিঃসৃত শব্দ মুক্তি আর স্বাধীনতা। স্বাধীনতার লিগ্যাসি বঙ্গবন্ধুর নামেই উচ্চারিত হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম এটাও তার লিগ্যাসি, এটা বহন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের এই লিগ্যাসি আরও পরিষ্কার হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image