নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৬০ বার পিছিয়ে আগামী ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রাজেশ চৌধুরী এ দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে সিআইডির পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। এ নিয়ে ৬০ বার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল।
এর আগে গত ২ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খানকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক আরাফাতুল রাকিব তলব করেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ওই বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এ অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে রিজাল ব্যাংকের শাখায় চারটি অ্যাকাউন্টে যায় এবং সেখান থেকে দ্রুত টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত আসে। এখনও ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার হয়নি।
ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি, মানি লন্ডারিং ও সাইবার অপরাধ দমন আইনের ধারায় মামলা করা হয়। পরে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রিজার্ভ চুরির সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ১৩ জনের গাফিলতি, অবহেলা ও দায় ছিল।
রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক একদিন পর জানতে পারলেও তা ২৪ দিন গোপন রাখে। ৩৩তম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি অর্থমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। বিষয়টি জানাজানি হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একই বছরের ১৫ মার্চ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: