• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার অতিক্রম করছে, উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩৭ পিএম
ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার অতিক্রম করছে
লণ্ডভণ্ড উপকূলীয় এলাকা

নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এ সময় গাছপালা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডসহ বাইরে নানা সরঞ্জাম ঝড়ো বাতাসে উপড়ে গিয়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে ঘূর্ণিঝড়টির উপকূল অতিক্রম শুরু হয়।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মঙ্গলবার সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এ সময় হালকা বাতাস হলেও সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। বৃষ্টিপাতও শুরু হয়। বাতাসের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, সড়কে চলাচল করা ইজিবাইকগুলো উড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

ঘূর্ণিঝড়ে সড়কের উভয় পাশের ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছোট-বড় সাইনবোর্ড বাতাসের তোড়ে উপড়ে সড়কে পড়ে যায়। বিভিন্ন স্থান হতে টিনসহ হালকা পণ্যগুলো উড়ে একস্থান হতে অন্যস্থানে সরে যায়। সমানে ভেঙে পড়েছে গাছের ডালপালা। শহরের অনেক উপসড়কেও গাছ ভেঙে পড়ে জন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ঝড়ো বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

কক্সবাজারের আবহাওয়াবিদ ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘হামুন’ আরও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় সন্ধ্যায়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে ঝড়ো বাতাসসহ কক্সবাজারের উপকূল অতিক্রম শুরু করে এটি।  মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এখনো বহাল রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ কক্সবাজারসহ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে বলে খবর পেয়েছি। শহরের মতো উপকূলের গ্রামের অনেক কাঁচা ঘরবাড়ির চালা, গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর পেয়েছি। পুরো অতিক্রম করা শেষ হলে বুধবার দিনের বেলা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সঠিক জানা যাবে।

এর বিকাল সাড়ে ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি রাতে দুর্বল হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বর্ষণ অব্যাহত আছে।

এছাড়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image