• ঢাকা
  • রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

৩ মিনিটেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিলো ট্রেন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২১ এএম
ট্রেনটির পরীক্ষামূলক
পদ্মা সেতু পাড়ি দিলো ট্রেন

নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুরের শিবচরের দুটি স্টেশন হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪ ধাপে ৪ স্তরের গতিতে ট্রায়াল (পরীক্ষামূলক) ট্রেন দিয়ে সফলভাবে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এসময় মাত্র ৩ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় ট্রেনটি। সর্বনিম্ন ৬০ কিলোমিটার গতি ও সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটে ট্রেনটি উভয় প্রান্তে পোঁছায়। ট্রেনটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা সন্তুষ্ট বলে জানা গেছে।

আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের। সেই উপলক্ষে গত ৭ সেপ্টেম্বর রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের এমপি ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ অসংখ্য সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার গতিতে রেলের ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল সাতটা ৩৫ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পাঁচটি বগি সম্মিলিত যাত্রীবাহী ট্রেনটি মাদারীপুরের শিবচরের দুটি স্টেশন ও পদ্মা সেতু হয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত যায়।

এসময় ট্রেনটির গতিবেগ ছিল ৬০-৬৫ কিলোমিটার এবং ট্রেনটি পদ্মা সেতু পার হয় ৭ মিনিটে। ট্রেনটি পৌছায় ৫১ মিনিটে। সকাল আটটা ৫৯ মিনিটে পুনরায় ট্রেনটি মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এসময় ট্রেনের গতিবেগ ছিল ৮০ কিলোমিটার। পৌঁছায় ৪০ মিনিটে। সকাল ১০টা ১১ মিনিটে ট্রেনটি আবারও ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এসময় ট্রেনটির গতিবেগ ছিল ১০০ কিলোমটিার। ট্রেনটি মাওয়া পৌঁছায় ৩৪ মিনিটে। আবারও ট্রেনটি মাওয়া থেকে ১১টা ১৭ মিনিটে ছেড়ে আসে। ভাঙ্গা পৌঁছায় মাত্র ৩০ মিনিটে। এসময় পদ্মা সেতুসহ গন্তব্যে পৌছাতে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগ ওঠানো হয়। ট্রেনটি দুর্বার গতিতে মাত্র ৩ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়। ট্রায়াল চলাকালে কোনো স্টেশনেই থামেনি ট্রেনটি। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলপথজুড়ে ছিল পুলিশি নিরাপত্তা।

প্রকল্পটির রেল লাইন (ট্রাক) ইনচার্জ সৈয়দ শওকত হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে ৪টি ট্রিপ দেয়া হয়েছে। প্রথমটি ৬০ কিলোমিটার, দ্বিতীয়টি ৮০ কিলোমিটারে, তৃতীয়টি ১০০ কিলোমিটার ও চতুর্থটি ১২০ কিলোমিটারের ওপর চালিয়ে রেল লাইনটির সক্ষমতা প্রমাণ হলো। পদ্মা সেতু পার হতে আজ সর্বনিম্ন সময় লেগেছে ৩ মিনিট।’

মাওয়া ভাঙ্গা সেকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ জানান, ‘এই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেনে ডিজাইন স্পিড ছিল ১২০ কিলোমিটার। আমরা সর্বোচ্চ গতি পেয়েছি ১২৫ কিলোমিটার। মাত্র ৩ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় ট্রেনটি। এ জন্য আমরা ৪ ধাপে এগিয়েছি। এই যাত্রাপথ ছিল খুবই আরামদায়ক।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image