নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষিণ অঞ্চলের বর্তমান প্রাণপুরুষ অভিভাবক অধ্যক্ষ মোঃ মুহিব্বুর রহমান পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় 'রাঙ্গাবালী উপজেলা বাসীর গণসংবর্ধনা এবং ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচার মিলনাতনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকাস্থ রাঙ্গাবালী উপজেলা কল্যাণ পরিষদ।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ রাঙ্গাবালী উপজেলা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাকের সভাপতিত্বে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মনোয়ার হোসেন সুপনে সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মোঃ মুহিব্বুর রহমান বলেন, রাঙ্গাবালী আমার সব সময় প্রিয় স্থান। রাঙ্গাবালীকে আমি সব সময় ভালবাসি ও এখানে মানুষের প্রতি আমার একটা আলাদা টান রয়েছে। কারণ রাঙ্গাবালী তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া একটি জনগোষ্ঠী। আমি ২০১৮ সালে এমপি হওয়ার পর থেকে আমার একটা পরিকল্পনা ছিল পিছিয়ে পড়া রাঙ্গাবালীকে উন্নত ও সমৃদ্ধ পর্যটন এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক সমস্যা আমরা সমাধান করেছি। এক সময় ব্যাংক না থাকায় এলাকার মানুষের পটুয়াখালী যেতে হতো। এখন সোনালী ব্যাংকের শাখা হয়েছে। পাশাপাশি কিছুদিন আগে রাঙ্গাবালী উপজেলার সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্বোধন করা হয়। যাতে করে বিচার প্রার্থীরা আদালতের জন্য গলাচিপা না যেতে হয়।
তিনি বলেন, রাঙ্গাবালী থেকে গলাচিপা ফেরি (সি-ট্রাক) অনুমোদন হয়েছে। ইতিমধ্যেই নৌ মন্ত্রণালয় এটা তৈরি করছে। সড়ক অবকাঠামোর কাজ শেষে এ বছরের মধ্যে মানুষ সি-ট্রাকের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবে। এছাড়াও রাঙ্গাবালী থেকে চরমোন্তাজের মধ্যেও ফেরি চালু হবে। সেই দুটি ফেরি চলাচলের জন্যে যে অবকাঠামোর কাজ করা দরকার সেই কাজ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাঙ্গাবালীতে পর্যটন নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। আপনারা জানেন সোনার চর, চর হেয়ার ও জাহাজমারা এই এলাকার মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করে না। মাছের সিজনে এক সময় মানুষ আসে, এরপর আর থাকেনা। এই তিনটা চরে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বহুতল বিশিষ্ট উন্নত মানের সাইক্লোন সেন্টার করে দিচ্ছি। এটা আমাদের যেমন ঝড়ের সময় আশ্রয়নের কাজ করবে এবং ঝড় না থাকলে পর্যটকদের জন্য রেস্ট হাউজে পরিণত করবো। শীঘ্রই এই তিনটি গেস্ট হাউস টেন্ডারে যাবে। আশা করি এ বছরের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে। এই কাজগুলো যদি শেষ করে ফেলতে পারি তাহলে সোনার চর, চর হেয়ার ও জাহাজমারার সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাঙ্গাবালী এখন দুর্গম এলাকা নয়। রাঙ্গাবালী ও পটুয়াখালীর মানুষ সেই নতুন ও উন্নত জীবনের স্বাদ পাবে। অদূর ভবিষ্যতে রাঙ্গাবালী হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
এছাড়াও মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা হিসাবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: