
নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের টিকাদানের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে আমাদের দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একডোজ করে করোনার টিকা নিয়েছেন। এছাড়া দুই ডোজ করে করোনার টিকা নিয়েছে ৮৮.৬১ শতাংশ মানুষ। আমরা একদিনে প্রায় ১ কোটি মানুষকে করোনার টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংক কর্তৃক সিঙ্গাপুরে আয়োজিত কোর ভ্যাকসিন সেমিনারে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই জায়গা থেকে প্রতিরোধযোগ্য ১০টি রোগের বিরুদ্ধে ৯৭ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। যা স্বাস্থ্যসেবার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি আমরা এইচপিভি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে নারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যসেবার ধারাবাহিক উন্নতির ফলে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ এবং ২০১২ সালে বিশ্বব্যাপী সরকারি এবং বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন সংস্থা (গেভি) আমাদের স্বীকৃতি প্রদান করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই অ্যালাইন্স থেকে ভ্যাকসিন হিরো উপাধি দেওয়া হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মানকে উন্নতির দিকে নির্দেশ করে।
এছাড়া আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা মহামারি মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মপ্রচেষ্টার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, এডিবি এবং গেভি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির শুরুর ছয় মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ৩ কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে। এছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা থেকে বাংলাদেশকে ৮০ লাখ টিকা প্রদান করা হয়।
জাহিদ মালিক বলেন, করোনা মহামারির সময় এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংক আমাদের ব্যাপক সহযোগতা করে। এজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকার সেক্টর গ্রুপের উপ-মহাপরিচালক Dr. Sungsup Ra। সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন- Duke-NUS Medical School, Singapore-এর নির্বাহী পরিচালক Prof. John CW Lim, এডিবি’র সেক্টর গ্রুপ পরিচালক Dr. Patrick L. Osewe| সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ভারতের Department of Animal Husbandry and Dairying Secretary Ms Alka Upadhyaya| সম্মেলনে সমাপনি বক্তব্য রাখেন আমেরিকান ভ্যাক্সিন প্রকল্প পরিচালক Dr. Laura Martin| সূত্র. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: