• ঢাকা
  • সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হতে পারে সেপ্টেম্বরে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:২৬ পিএম
চালু হতে পারে সেপ্টেম্বরে
বঙ্গবন্ধু টানেল

নিউজ ডেস্ক :  চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। শুধু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ শেষে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই খুলে দেয়া হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম এ টানেলটি।

এটি চালু হলে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলটি যুক্ত করবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আর বন্দর নগরীকে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, মূল টানেলের ৯৯.৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং প্রকল্পের নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৭.৫ শতাংশ। এখন টানেলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ চলছে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন।
 
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারকে সরাসরি চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
 
প্রকল্প পরিচালক বলেন, টোল প্লাজা সংক্রান্ত ক্রস প্যাসেজ ও টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ড্রেনেজ সিস্টেমের নির্মাণকাজ এবং পাম্প স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে।
 
এদিকে, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানেলটি কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুসহ দুটি সেতুর যানজট কমিয়ে দেবে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান বন্দর নগরী ও কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশকে নদীর পূর্ব দিক এবং আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে মোট ৭৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
 
টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এ টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করবে।
 
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজে টানেলের মধ্যদিয়ে চলাচল করতে পারে। নির্মাণাধীন টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪০ কিলোমিটার। এতে ৫.৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোড ও একটি ৭৪০ মিটার ব্রিজের পাশাপাশি মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image