ডেস্ক রিপোর্টার: সিলেটে ভয়ংকর বন্যায় বিপর্যস্ত ১৫ লাখ মানুষ। ছুটছেন আশ্রয়ের খোঁজে। সুরমা-কুশিয়ারায় একে একে ৩৫টি স্থানে ভেঙেছে বাঁধ। সবশেষ জকিগঞ্জের আমলসীদে বাঁধ ভাঙায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দুষছেন বানভাসিরা।
দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় টিকে ছিল এই বাঁধ। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ভারতের বরাক নদীর পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে যায় সুরমা-কুশিয়ার নদীর মোহনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ।
এই বাঁধ ভাঙায় ১৩ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ লাখ লাখ মানুষ এখন পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছেন। চাচ্ছেন সাহায্য।
আর সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে। আমাদের প্রায় ১০০ মেট্রিক টন চাল হাতে রয়েছে।’
বানের পানিতে বিপর্যস্ত মানুষ ছুটেছে কোনো না কোনো আশ্রয়ে। আর গবাদি পশুর আশ্রয় হয়েছে সড়ক সেতুতে। বাঁধের এই বিপজ্জনক ভাঙনের জন্য এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়ী করছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করেনি। যে কারণে আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেটের জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী বলেন, ‘বাঁধ মেরামতের জন্য বললে ওনারা বলেন বরাদ্দ নেই। আমরা উপজেলা পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়েছি।’
আর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. মোশাররফ হোসেন জানান, বন্যা প্রতিরোধে মহাপরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, যেসব জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, সেগুলো যাতে মজবুতভাবে রক্ষা করা যায়, সে প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর বাঁধের ৩৫টি স্থান ভেঙে পানি জনপদে ঢুকেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: