• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৭ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

গফরগাঁওয়ের গরমে বেড়েছে এসি বিক্রি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৪৭ পিএম
গফরগাঁওয়ের গরমে বেড়েছে
এসি বিক্রি

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ । মানুষ তীব্র গরম হাঁসফাঁস করছে। একটু আরামের জন্য শীতল হতে চাইছে। তাপমাত্রার পারদ সব রেকর্ড ভেঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। কর্মজীবি মানুষ শুধু প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে,তাপমাত্রার পারদ গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গেছে। ঘরে থেকেও ঘরমের অস্বস্তি কাটছেনা। প্রাকৃতিক বাতাসও কমে গেছে। ফ্যানের বাতাসও আরাম দিচ্ছেনা। সিলিং ফ্যানের বাতাস গরম কমাতে পারছেনা। নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। এই গরম থেকে মুক্তি পেতে মানুষ ছুটছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে।
এসময় গরমের তীব্র্রতা থেকে বাঁচতে অনেকেই খোঁজ করছেন হাইস্পিড ফ্যান,এয়ারকুলার আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের। এই মফস্বলেও গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র কিনতে। বিক্রেতারা বলছেন গত ১৫ দিনে দিনে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এসি বিক্রি। অনেকেই সাধ্যের মধ্যে কিস্তিতে কিনছেন দেশীয় ব্য্রান্ডের এসি।আবার অনেকেই নগদে কিনে নিচ্ছেন এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।  
বিক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় গফরগাঁও উপজেলায় এই বছর এসি বিক্রির চাহিদা কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এসি সাধারণ বেশি বিক্র হয় মে,জুন মাসে । এবার এপ্রিলেই বিক্রি হয়েছে সর্বাধিক এসি।

গফরগাঁও পৌরসভার জনি ইলেকট্রনিক্সে গিয়ে দেখা যায়,অনেকেই এসি কেনার জন্য ভিড় করেছেন। এখানকার স্বত্ত¡াধিকারি শাহরিয়ার আহম্মেদ জনি জানান,তিনি বিক্রি করছেন স্যামসাং,গ্রি,হাইয়ার,জেনারেল,হাইসেন্স ব্র্যান্ডের এসি। এগুলোর দাম,মান ও বিক্রয়োত্তর সেবা বেশ ভালো।গত এপ্রিল মাসে জনি ইলেকট্রনিক্স থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসি বিক্রি হয়েছে ৬০ টির মতন। এখানে এসি কিনতে আসা একজন ব্যাংকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আস্থার কারণে এখান থেকেই তিনি এসি কিনছেন। এছাড়াও কয়েকজন ক্রেতা তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন,জনি ইলেকট্রনিক্স থেকে অন্যান্য পণ্য সামগ্রী নিয়ে ভাল সেবা পেয়েছেন।

আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক আরশাদ আহমেদ বলেন,‘এক আত্মীয়ের জন্য এসি পছন্দ করে কিনে দিতে এসেছি। এর আগেও এখান থেকেই কেনাকাটা করেছি।‘  

এছাড়াও পৌর এলাকা ও উপজেলায় এসি বিক্রি করছেন দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন,যমুনা ইলেকট্রনিক্স,ভিশন,সিঙ্গার,এলজিসহ বিভিন্ন কোম্পানীর নিজস্ব শো-রুম থেকে।

অন্যান্য বিক্রেতারাও জানিয়েছেন, গরম বাড়ায় ফ্যান ও এসির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় স্টকেও ঘাটতি পড়েছে। ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় দোকানগুলোয় ফ্যান দিচ্ছে না।
তবে গত বছরের তুলনায় এবার ব্র্যান্ডের এসি ও এয়ারকুলারের দাম বেশি বলে মনে করেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, বিশ^ বাজারের সাথে দাম কিছুটা হেরফের হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে শাহরিয়ার আহমেদ জনি বলেন , চলতি মৌসুমে এসির দাম বাড়ানো হয়নি। নানা অফার ও কিস্তিতে পাওয়া যাচ্ছে এসিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য। দেশি ব্র্যান্ডের ১ টনের এসি  ৪১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে শুরু ।  

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image