• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৮ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

গান শুনিয়ে চলে ভুট্টুর সংসার, স্বপ্ন ইত্যাদিতে গান গাওয়ার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৮ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১২ পিএম
স্বপ্ন ইত্যাদিতে গান গাওয়ার
গান শুনিয়ে চলে ভুট্টুর সংসার

গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ছোট বেলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে জর্দার ছোট কৌটোর ভেতরে সাইকেলের চাকার বল ঢুকিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন  এলাকায় বাজনা বাজিয়ে গান শোনান ভুট্টু মিয়া।আর এতে যা পান তা দিয়ে চলে তার সংসার। মুলত খালি গলায় গান শুনান তিনি। টাকার অভাবে তবলা বা ঢোল ও একতারা কিনতে পারছেনা বলে জানান ভুট্টু মিয়া। তাঁর ইচ্ছে বিটিভিতে প্রচারিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গাওয়ার। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া চাপাতি গ্রামে ভুট্টু মিয়ার বাড়ী। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান তিনি। তারপর থেকে কাজ করে খেতেন তিনি। কাজ করতে করতে দুর্ঘটনায় ডান হাতের হাড় ভেঙে যায় তার। বর্তমানে হাড় জোড়া থাকলেও ওই হাত দিয়ে ভারি কোনো কাজ করতে পারেন না। তাই গানকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের তিতুমীর সড়কের পাশে ইউসিবি ব্যাংকের নিচে ৪০ বছর বয়সী এ যুবককে গান গাইতে দেখা যায়। 

এসময় আব্দুর রহিম নামে এক দর্শক জানান, ভুট্টু মিয়াকে দেখেছি বিভিন্ন হাটবাজারে হাত দিয়ে কৌটা বাজিয়ে গান গাইতে। কিছুদিন আগে রোড বাজারে আমাদের দোকানের সামনেও গান করেছেন তিনি। কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই তার গলার সুর ও গান মুগ্ধ করে মানুষজনকে। তার এই প্রতিভাকে পুঁজি করেই তিনি সংসার চালাচ্ছেন।

জুলফিকার নামে দর্শক বলেন আমি রাস্তা দিয়ে হাটে যাচ্ছিলাম। অনেক মানুষজনের সমাগম দেখে আমিও দাঁড়িয়ে গান শুনছিলাম তার। তার গান গাওয়ার প্রতিভা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ।  

জয়নাল নামে আরেক দর্শক বলেন, তার গান যে কোনো মানুষকে মুগ্ধ করে। তাই খুশি হয়ে মানুষ ১০-২০ টাকা দেন। এতে তার সংসার চলে।
  
নওসেদ নামে আরেক দর্শক তার গান শুনে বলেন, মানুষটির প্রতিভা আছে। সহযোগিতা পেলে তিনি হয়তো ভালো কিছু করতে পারবেন।

ভুট্টু মিয়া বলেন, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বতর্মানে সংসারে আমরা স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান। রাস্তা ঘাটে ও বিভিন্ন হাটবাজারে গান গেয়ে দৈনিক ৩ থেকে ৪শ টাকা আয় হয়। আমার স্ত্রী দিনমজুরি দিয়ে যা আয় করেন, তাতে করে কোনোমতে সংসার চলে। যদি সহযোগিতা পেতাম তাহলে অন্তত তবলা বা ঢোল ও একতারা কিনতে পারতাম। টাকার অভাবে এসব কিনতে পারছি না। 

ভবিষ্যৎ ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইত্যাদিতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার। আর ইত্যাদিতে যেতে পারলে সেখান থেকে হয়তো হানিফ সংকেত আমাকে কিছু না কিছু সহায়তা করবেন বলে আশা করছি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image