
সুমন দত্ত: যাদের কোনো পত্রিকা বাজারে বের হয় না। বিজ্ঞাপন পেলে বের হয়। যারা একাধারে সম্পাদক প্রকাশক বিজ্ঞাপন কালেকটর ও তদবিরবাজ, তাদের কে সনাক্তের চেষ্টা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই ধরনের ১০০ পত্রিকার ডিক্লারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরো হবে। প্রকৃত মিডিয়াকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুসহ অন্যরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা প্রতিদিন পত্রিকা বের করেন তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হোন সেদিকে খেয়াল রেখে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আগে ৪০০ মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। এখন সেটি ৫০ এ নেমে এসেছে। বাজারে পত্রিকা বের হয় না। এমন প্রতিষ্ঠানকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকৃত মিডিয়ার ক্ষতি করা হয়। সেটা আর হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের নেতারা সরকারি বিজ্ঞাপনের বকেয়া পরিষদের দাবি জানালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্র পরিষদের নেতারা মন্ত্রীর কাছে ১৫টি দাবি তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে রয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ইস্যুকৃত ক্রোড়পত্রের সব বকেয়া বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করা, জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় দৈনিক সংবাদপত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রণীত ক্রোড়পত্র নীতিমালা অনুযায়ী ইস্যু করা, মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক সংবাদপত্রের সুষ্ঠু বিজ্ঞাপন বণ্টন ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তরের কমিটিতে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
এছাড়াও বিজ্ঞাপন বণ্টন ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রীয়করণ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে আনা, বিজ্ঞাপন ইনসারশন বৃদ্ধি করে সর্বনিম্ন ১০টি করা, মিডিয়া তালিকাবহির্ভূত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, ডিএফপির ৯ম ওয়েজ বোর্ড মনিটরিং কমিটিতে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
বিএসপির দাবির মধ্যে আরও রয়েছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) পরিচালনা বোর্ডে বিএসপির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা পরিষদে বিএসপির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা ও বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদে বিএসপির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালনা পর্ষদে বিএসপির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালনা পর্ষদে বিএসপির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, ঢাকা ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদে বিএসপির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সভা ও সেমিনারে বিএসপির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: