• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:১৯ পিএম
গড়ে তোলা হয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চল
বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ

নিউজ ডেস্ক:   চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে দুই টিউবের মধ্যে সংযোগ, সড়ক নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজ। সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে চট্টগ্রামকে।

গেল বছরের অক্টোবরে টানেলের দুইটি টিউবের খনন কাজ শেষ হয়। এখন চলছে সড়ক নির্মাণসহ বাকি কাজ। টানেলকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে কর্ণফুলী নদীর ওপারে গড়ে তোলা হয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চল।

পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি থেকে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা টানেলের মাধ্যমে মূল নগরীর সঙ্গে যুক্ত হবে। গড়ে উঠবে দুই শহরের সমন্বয়ে আরেকটি শহর। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, 'আমরা এখন টানেলের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিংয়ের কাজ- ক্রস ফেসেসের কাজ শুরু করেছি। আমাদের নির্ধারিত সময় ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস। আমরা সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য যথেষ্ঠ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

চালুর বছরে টানেল দিয়ে ৬৩ লাখ গাড়ি ও কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো চালুর পর ২০৩০ সাল থেকে বছরে এক কোটি ৩৯ লাখ গাড়ি চলাচল করবে। সেই চাপ সামাল দিতে এবং দুই প্রান্ত যানজটমুক্ত রাখতে একশ বছরের যান চলাচল মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, 'ইতিমধ্যে তারা দু'টি সাব-কমিটি গঠণ করে দু'টি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত আলাদা করে সুপারিশমালা, টেকনিক্যাল কিছু পরামর্শ, এগুলা আমরা সেতুবিভাগে জমা দিয়েছি। আমরা আশা রাখি এই সুপারিশমালাগুলো বাস্তবায়িত হলে যে আশঙ্কা আমরা করছিলাম তা আর থাকবে না।'

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কয়েকগুণ বাড়ার পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এই টানেল।

এই টানেল হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার নদীর তলদেশে প্রথম টানেল। আর এশিয়ান হাইওয়ে যুক্ত হবে চীনের প্রস্তাবিত সিল্ক রোডের সঙ্গে। টানেল দিয়ে যান চলাচল শুরুর পর দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উম্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image