• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১৭ এএম
কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
কলেজছাত্র মামুন হোসেন ও শিক্ষিকা খাইরুন নাহার

নিউজ ডেস্ক : নাটোরের এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে সাত মাস আগে বিয়ে করেন শিক্ষিকা খাইরুন নাহার। রোববার সকালে ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিয়ের আট মাস পর ১৪ আগষ্ট সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

খাইরুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ২২ বছর বয়সী মামুনের বাড়ি উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে আট মাস আগে বিয়ে করেন শিক্ষিকা খাইরুন নাহার। সকালে ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, রাত তিনটার দিকে মামুন তাদের ডেকে বলেন, তার স্ত্রী খায়রুন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে ঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় খায়রুনের মরদেহ দেখতে পান।

এ ঘটনায় সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়।

বাসার কেয়ারটেকার নাজিম উদ্দিন বলেন, রাত দুইটার দিকে মামুন বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর তিনটার দিকে বাসায় ফিরে সবাইকে ডাকাডাকি করে বলেন, তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে সবাই ঘরে ঢুকে মেঝেতে মরদেহ শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পায়।

ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয় খাইরুন নাহারের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একই বছর ১২ ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তারা।

বিয়ের পর খাইরুন নাহার জানিয়েছিলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সে সময় আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। তখন ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। মামুন খারাপ সময়ে পাশে থেকে তাকে উৎসাহ দিয়েছেন; নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাই পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

বিয়ের পর মামুন হোসেন বলেছিলেন, মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। খাইরুনকে বিয়ে করে আমি খুশি এবং সুখী। সবার দোয়ায় সারা জীবন এভাবেই থাকতে চাই।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image