নিউজ ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফর যেমন দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে তেমনি মানুষে মানুষে আত্মিক সম্পর্ককে আরো গভীরতর করতেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে ৯জন সাংবাদিক ৬ থেকে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে রোববার চট্টগ্রাম যান।এদিন চট্টগ্রামের সন্তান তথ্য মন্ত্রী হাছান ভারতীয় সাংবাদিকদের নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতির স্থান পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন।
ড. হাছান তার বক্তৃতায় বলেন, এখন আর আকাশ থেকে বাংলাদেশে কুঁড়েঘর দেখা যায় না, বাস্তবিক অর্থে কুঁড়েঘর হারিয়ে গেছে, এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।গত ১৪বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখহাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু’দেশের সুসম্পর্কের নতুন মাত্রা আমাদের এই বদলে যাওয়ার উন্নয়ন অভিযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমরা দু’দেশের নাগরিক বটে, কিন্তু আমরা একই পাখির কলতান শুনি, একই নদীর অববাহিকায় আমরা বেড়ে উঠি।একই মেঘ আমাদের এখানে বরিষণ করে।কাঁটাতারের বেড়া আমাদের এই বন্ধন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, ভাষা এবং সর্বোপরি আমাদের ভালোবাসাকে বিভক্ত করতে পারেনি।
হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের এই আত্মিক সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে একাত্ম হয়েছে একাত্তর সালে, যখন আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতের সেনাবাহিনী রক্ত ঝরিয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের কষ্টের সাথে ভারতের মানুষও কষ্ট স্বীকার করেছে।এককোটির বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।যতই কাঁটাতারের বেড়া কিংবা অন্যকোনো আইন-কানুন থাকুক না কেন, রক্তের অক্ষরে লেখা হৃদয়ের এইবন্ধন কখনো বিভক্ত করা যাবে না।
ড. হাছান মাহ্মুদ আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, মানুষের আত্মিক খোরাক যোগায়, অনুন্মোচিত বিষয়কে উন্মোচিত করে। সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সঠিক পথে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখে। এখান থেকে গিয়ে যখন আপনারা কলম ধরবেন কিংবা টেলিভিশনে রিপোর্টিং হবে তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে। আমাদের দেশের বদলে যাবার গল্পটা ভারতবাসী জানবে, বিশ্ববাসী জানবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায়অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকআবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও আসামের সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ কুমার গোস্বামী। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক স্বাগত বক্তব্য ও সিনিয়রসহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম প্রমুখ আমন্ত্রিত বক্তব্য রাখেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: