• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা, সর্বোচ্চ ২৩১০


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:২৬ পিএম
সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে
জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভা

নিউজ ডেস্ক:    এ বছর ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি এ হার নির্ধারণ করেছে।

শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।  

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি জানান, ইসলামী শরিয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের মধ্য থেকে যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।

আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা)। খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজারমূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

কমিটির সভাপতি জানান, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজারমূল্য ৭৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম (এক সা) বা এর বাজারমূল্য ৩০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

এ ছাড়া তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিশমিশ বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ৪২০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে। ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

তিনি আরো বলেন, নিসাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) সম্পদের মালিক হলে মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।

সভায় মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান ও মুফাসসির মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image