জাহিদুল হক মনির, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর শেরপুর পৌরপার্কের এক সংবর্ধনায় মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জগজিং সিং অরোরা শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা করেন। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেরপুর শহরের চকবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শেষ হয় শিল্পকলা একাডেমির সামনে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানসহ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোক্তাদিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলাহজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা: অনুপম ভট্রাচার্য, জেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মো. রেজুয়ান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নূরুল ইসলাম হিরু প্রমুখ। আলোচনা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরত কামনায় দোয়া করা হয়।
১৯৭১ এর ৬ ডিসেম্বর রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার আহমদ নগরে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প পতনের পর ৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তি বাহিনীর বিজয়ী বেশে শেরপুরে প্রবেশ করে। এ দিন শেরপুর পৌরপার্কে মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এই সংবর্ধনা সভায় জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুরকে মুক্ত ঘোষণা করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: