
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা (ইলেকট্রনিক ভিসা) চালু করেছে সৌদি আরব। নাগরিকদের যাত্রা আরো বেশি সহজ করতে আজ সোমবার (১ মে) থেকে ই-ভিসা চালু করেছে দেশটি। দুপুরে ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান তার দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, এক বছর ধরে পবিত্র হজ পালনকারীদের জন্য ই-ভিসা চালু ছিল। এখন থেকে কাজ, ভ্রমণ ও থাকাসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ডে সৌদি আরব যেতে হলে কাগজের ভিসার পরিবর্তে ই-ভিসা পুরোদমে চালু হলো। সৌদি আরব পুরো ভিসা প্রক্রিয়াটি যান্ত্রিকভাবে সম্পন্ন করতে চায়। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ভিসাপ্রক্রিয়া আরো সহজতর হবে।
দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা উল্লেখ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, দালালেরা শ্রমিকদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু এর জন্য শ্রমিক বা চাকরিদাতা কেউই দায়ী নয়। বরং এর জন্য দায়ী দালাল শ্রেণি। শ্রমিকেরা যাওয়ার আগে যেন জানেন, তাদের বেতন কত এবং কোথায় কীভাবে কাজ করবেন। অনেক সময় শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। তাদের বলা হয়, সৌদি দূতাবাস টাকা নেয়। আমি বলতে চাই, এমন অভিযোগ একেবারে মিথ্যা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ভিসা স্টিকার খরচ সাপেক্ষ এবং এখানে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ই-ভিসা চালুর ফলে এখন থেকে এ-ফোর সাইজের কাগজে ভিসা প্রিন্ট করে দেওয়া হবে। কাগজের নিচের অংশে একটি বারকোড থাকবে। ওই বারকোডে ভিসা যিনি পেয়েছেন, তার সব তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে। নতুন ব্যবস্থার কারণে শ্রমিক, চাকরিদাতা, মেডিকেল সেন্টারের কর্মীসহ অন্য সবাই উপকৃত হবেন বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত।
ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান জানান, আগে ভিসা স্টিকারে শুধু আরবি ভাষায় তথ্য লেখা থাকত। কিন্তু ই-ভিসা চালুর পর তা আরবি ও ইংরেজি দুই ভাষায় থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশীরা সহজে বুঝতে পারবেন ভিসা কত দিনের জন্য এবং কোন শ্রেণিতে আবেদনকারী ভিসা পেলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, সুদান থেকে ১০০টি দেশের ৬ হাজার লোককে সৌদি আরব উদ্ধার করেছে। বাংলাদেশের নাগরিকদেরও উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। সুদান থেকে এসে যে কেউ সৌদি আরবে আশ্রয় নিতে পারবেন। আমরা এক্ষেত্রে স্বাগত জানাই। সুদান থেকে বাংলাদেশীদের উদ্ধারে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব কর্মী সৌদি আরব যান, তারা আরবি ভাষা পড়তে পারেন না। এজেন্সি থেকে ভিসা নিয়ে তারা আসলে বুঝতে পারেন না, এটা কোন প্রকার ভিসা। সে কারণে ভিসায় ইংরেজি বা বাংলা ভাষা থাকলে সুবিধা হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক শফিকুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: