
নিউজ ডেস্ক : ঢাকা কাস্টমস হাউস শাহজালাল বিমানবন্দরের নিচ তলায় অস্থায়ী গুদামে রক্ষিত ৫৪ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ৫৪ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মতে ওই গুদামে ছিল আরো ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪৭ কোটি টাকার বেশি। (ভরিতে ১ লাখ টাকা ধরলে)
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) কাস্টমস শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যার মূল্যমান প্রায় ৪৭ কোটি টাকা। মূলত এসব স্বর্ণ যাত্রীদের থেকে জব্দ করার পর কাস্টম হাউজের গুদামে রাখা হয়েছিল।
কাস্টমসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কাস্টমস শুল্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ঢাকা কাস্টম হাউজের গুদামে জব্দ করা প্রায় ১৫ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না।
রোববার অফিস খোলার পর বিষয়টি কর্মকর্তাদের নজরে আসে। পরে বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অভিযোগপত্রে গায়েব হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ ৫৫ কেজির বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল বিমানবন্দরের ভেতরে ঢাকা কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে সাড়ে ৫৫ কেজি স্বর্ণ লোপাটের ঘটনার তথ্য সংগ্রহে গেলে কাস্টম হাউজের গেটেই গণমাধ্যম কর্মীদের আটকে দেয় আনসার সদস্যরা। অনুমতির কথা বলে দাঁড় করিয়ে রাখেন ও গাড়ি প্রবেশে বাধা দেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে যান গণমাধ্যমকর্মীরা।
স্বর্ণ লোপাটের ঘটনায় ঢাকা কাস্টম জানিয়েছে, ঘটনা জানার পর পর্যবেক্ষণে গিয়ে গুদামের সামনে ঠিক থাকলেও পেছনে এসির সঙ্গে বড় ধরনের ফাঁকা জায়গা চোখে পড়ে। সেক্ষেত্রে স্বল্প বা দীর্ঘ সময় ধরে এ ঘটনা ঘটে আসতে পারে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
অপরাধীদের ধরতে গুদামের পাহারায় নিয়োজিত চার সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কাস্টম। পাশাপাশি গুদামের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাস্টমস সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। কাজেই গুদামে থাকা বাকি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: