• ঢাকা
  • রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

যে বুলেটে হাসিনা এতিম, সেই বুলেটে বেগম জিয়া বিধবা : কাদের


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:০৪ পিএম
যে বুলেটে হাসিনা এতিম, সেই বুলেটে বেগম জিয়া বিধবা : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এতিম শেখ হাসিনাকে যে বুলেট আঘাত করেছিল, সেই বুলেটই ১৯৮১ সালের ৩০ মে বেগম জিয়াকে বিধবা করেছিল। ভুলে যাবেন না। এটা ইতিহাস।

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র উদ্যোগে আইইবির সদর দফতরে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭৫'র ১৫ আগষ্টের হত্যাকাণ্ড খুনিরা জিয়াউর রহমানের আশকারা না পেলে ঘটাতে সাহস পেত না আমি মনে করি।

সেতু মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হত্যা ঘটানো হয়েছিল। ১৫ আগস্টের মাষ্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান ও মোশতাক। সেই জিয়াউর রহমান ও মোশতাক জেল হত্যারও মাষ্টার মাইন্ড। তা তদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছেন। একটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযু্দ্ধের আর্দশকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য ছিল। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে মারতে পারেনি বলেই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশীর প্রান্তরে বাঙালিকে যে মীরজাফরের দল পরাজিত করেছিল, তেমনি ৭৫ এ জিয়া-মোস্তাকগং পরাজিত করে বাঙালিকে।

তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে যদি জড়িত না থাকে তাহলে তিনি কোনো ইনডেমনিটি জারি করলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা কারীদের কেন বিভিন্ন দূতাবাসের চাকরি দিয়েছিল। তিনি বাঁচতে পারেনি। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে।

তৎকালীন বিএনপির ক্ষমতা কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ক্ষমতা আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করা হয়েছে। 

তারেক রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন,তারেক রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে। লন্ডনের টেমস নদীর উপার থেকে ডাক দিলে মনে হয় বাংলাদেশ পানিতে ভেসে যাবে কিন্তু তা কখনো হবে না।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে কাদের বলেন, তাদের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে, লন্ডন থেকে অনলাইনে ডাক দিয়ে আন্দোলন হয় না, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই আছে কেবল নেতাকর্মী।

তিনি আরও বলেন, জনগণ যে আন্দোলনে নেই সেই আন্দোলন পৃথিবীর কোথাও সফল হয়নি। বাংলাদেশেও হবে না।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, রাজনীতি করুন, তবে ষড়যন্ত্র করবেন না। রাজনীতি করুন, কিন্তু মানুষ পোড়ালে খবর আছে।

প্রকৌশলীদের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের জোয়ার বসে গেছে সেখানে প্রকৌশলীদের অবদান আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আর মাত্র তিন মাস আছে এর মধ্যে অনেক দূর যেতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে থাকতে হবে।

উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, সাবেক আইইবির ঢাকা সেন্টারের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো: মনোয়ার হোসেন। 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার,আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী,আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন, আইইবির ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলামসহ আইইবির বিভিন্ন কেন্দ্র, উপকেন্দ্র ও বিভাগের নেতৃবৃন্দ।

 

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image