• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নরেন্দ্র মোদির আসন্ন আমেরিকা সফর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:১১ পিএম
উভয় পক্ষই উত্তেজনা এবং প্রত্যাশার পারদ চড়াচ্ছে
নরেন্দ্র মোদি

নিউজ ডেস্ক:  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন আমেরিকা সফর শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেই নয়, ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে অন্যান্য রাষ্ট্রের উপরেও। রবিবার এমন দাবি করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তারণজিত্ সিংহ সান্ধু।

আগামী বুধবার চার দিনের সফরে নিউ ইয়র্ক পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বিশ্ব যোগ দিবস উদ্যাপন করে মোদির গন্তব্য ওয়াশিংটন ডিসি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে শীর্ষ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, সরকারি নৈশভোজ, আমেরিকার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা, অনাবাসী ভারতীয়দের সমাবেশসহ সব মিলিয়ে ব্যস্ত কর্মসূচি। এই সফরকে ঘিরে ভারত এবং আমেরিকা উভয় পক্ষই উত্তেজনা এবং প্রত্যাশার পারদ চড়াচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত সান্ধু বলেছেন, ‘ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্ক পরবর্তী স্তরে উন্নীত হতে চলেছে। এই সফরের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা থেকে এটাই মনে হচ্ছে। এমনভাবে সফরসূচি প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে দুই নেতা অনেকটা সময় নিজেদের মধ্যে ব্যয় করতে পারেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘যাকে উন্নয়ন বলে, সহযোগিতা বলে, ঠিক সেই অর্থেই আমরা সম্পর্ককে দেখছি। আপনারা দেখতে পাবেন, এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আরো বেশি সহযোগিতা এবং সমন্বয় ঘটবে। এর ফল শুধু আমেরিকা বা ভারতই পাবে না, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরো অনেক দেশই পাবে।’

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করছেন। সান্ধুর বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগে অনেক বারই আমেরিকা সফর করেছেন। প্রত্যেকটি সফরেরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং নতুনত্ব ছিল। কিন্তু এই সফরের নিজস্ব কিছু বিশেষ উপাদান থাকবে।’ এর আগে ২০১৬ সালে আমেরিকার কংগ্রেসে বক্তৃতা দিয়েছিলেন মোদি। এবারও দেবেন। সান্ধু বলেছেন, ‘খুব কম আন্তর্জাতিক নেতাই একাধিকবার আমেরিকার কংগ্রেসে বক্তৃতা দিয়েছেন। নেলসন ম্যান্ডেলা, উইনস্টন চার্চিলের মতো হাতে গোনা কয়েক জন। কিন্তু গত ৭৫ বছরে এই প্রথম ভারত থেকে কোনো প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় বার আমেরিকার কংগ্রেসে বক্তৃতা দিতে চলেছেন।

মোদির সফরে প্রতিরক্ষা, উচ্চ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, যৌথ উত্পাদন এবং বিনিয়োগের পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার দিকেও। 

আমেরিকায় পড়তে চাওয়া ছাত্রদের ভিসার জন্য যে অনন্ত প্রতীক্ষা করতে হয়, এবার তা কমানোর জন্য কোনো ঘোষণাও থাকতে পারে। যেসব নাগরিক আমেরিকায় থেকে কাজ করতে চান এবং গ্রিন কার্ডের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদের সেই কার্ড প্রাপ্তির জন্য কড়া নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল করার কথাও অর্থাত্ মোদির সফরের প্রাক্কালে ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। 

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image