• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বিশ্ব হাতি দিবস: জীব বৈচিত্র্য ও বন রক্ষায় হাতির ভূমিকা অপরিসীম


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ আগষ্ট, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৩৬ পিএম
বিশ্ব হাতি দিবস

কক্সবাজার প্রতিনিধি জনসচেতনতা বাড়াতে ২০১২ সালে কানাডিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা প্যাট্রিসিয়া সিমস, মাইকেল ক্লার্ক ও থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট রিইন্ট্রোডাকশন ফাউন্ডেশনের প্রধান শিভাপর্ন দারদারানন্দ 'বিশ্ব হাতি দিবস' পালন করা শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতি বছরের ১২ আগস্ট 'বিশ্ব হাতি দিবস' পালিত হয়ে আসছে।

রবিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের শিলখালী রেঞ্জের আয়োজনে এবং নেচার এন্ড লাইফের সার্বিক সহযোগীতায় পালিত হয়েছে বিশ্ব হাতি দিবস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইশরাত ফাতেমা। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম, প্রতিপাদ্যের বিষয়ের উপর নিবন্ধ পাঠ করেন নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের আরিফ, বক্তব্য রাখেন,শিলখালী সিএমসির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ও ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ রফিক, নেচার এন্ড লাইফের তুহিন,অসীম কুমার। 

শিলখালী সিএমসির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, বন উজাড়ের ফলে এখানকার বন ও বনজ সম্পদের অপরিমিত ক্ষতি হচ্ছে। আর সে ক্ষতির মাসুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সম্প্রতি বর্ষা মৌসুমে ঘটছে পাহাড়ধসের মত ভয়াবহ ঘটনা। হারাতে হয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। তবে এ ক্ষতি কাঠিয়ে উঠতে নতুন বনায়ন সৃষ্টি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।

সিএমসির কোষাধ্যক্ষ ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের বলেন, হাতি স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। একটা সময় পৃথিবীজুড়ে কয়েক প্রজাতির হাতির বিচরণ থাকলেও কমতে কমতে তা এখন নেমে এসেছে। মানুষ হিসেবে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই জীব বৈচিত্র্য এবং বন রক্ষায় হাতিকে আমাদের প্রত্যেককেই বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে আসা উচিত।

শিলখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম বলেন, হাতির আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আবাসস্থল তৈরী করতে হবে।বন্যপ্রাণী আমাদের প্রকৃতি রক্ষা করে প্রকৃতি রক্ষায় আমাদের সকলের উচিৎ বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা করা। প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে হাতির সংঘাত বেড়ে চলেছে। শুধু নিজের চিন্তা করলে হবে না। প্রাণীদের ও পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার রয়েছে। বন্যপ্রাণীর সাথে যেন সংঘাত না হয় সেদিকে সবার নজর থাকা দরকার। মানুষের সাথে হাতির সংঘাত বন্ধ করতে হবে। এবিষয়ে আমাদের সবার সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

প্রধান অতিথি বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইশরাত ফাতেমা বলেন, মানুষের সাথে বন্যহাতির সংঘাত যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে বনবিভাগ কাজ করছে। বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল ছেড়ে দিতে হবে আমাদের। তাদের নিরাপদ আবাসস্থল হলে মানুষের উপর আঘাত করবে না। বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলের একসাথে কাজ করতে হবে। তারজন্য প্রথমে আমাদের নজরে রাখতে হবে যেন বনভূমি দখল না হয়।

তিনি আরো বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্যহাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে। তিনি আরো বলেন, সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে আমাদের মানুষ ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস

আরো পড়ুন

banner image
banner image