বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুর বিরামপুরে ঘরের খাটের উপর ঝুলছিল শিক্ষকের মরদেহ। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিরামপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের চাঁদপুর মহল্লার আব্দুল গণি (৬০) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর-২৩) ঘটনা সরজমিনে জানা যায়,আব্দুল গণি পেশায় ছিল একজন স্কুল শিক্ষক দীর্ঘ সময় শিক্ষকতায় সময় কাটিয়ে অবসর গ্রহণ করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের চাঁদপুর মধ্যপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়িতে শয়ন ঘরের খাটের উপরে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ।
এবিষয়ে স্হানীয়রা জানান, তিনি একজন খুব ভালো মানুষ ছিলেন গলায় দড়ি দিয়ে মারা যাওয়ার মত মানুষ তিনি নয় এর নেপথ্যে রহস্য লুকিয়ে আছে বলে তারা ধারণা করেছেন।
স্হানীয়রা আরও জানান,বহুদিন যাবত তার সহিত তার স্ত্রী নাদিরা পারভিন নাইচের মনোমালিন্য ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী তাকে একাই বাসায় রেখে তার মেয়ের বাড়িতে ছিল।
এবিষয়ে নিহতের স্ত্রী নাদিরা পারভিন নাইচের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,কয়েকদিন আগে আমি বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাই। বাড়িতে আমার স্বামী কয়েকদিন ধরে একা থাকতো এবং নিজেই রান্না করে খেত। আমি নিয়মিত মোবাইলের মাধ্যমে উনার খোঁজখবর নিতাম। আজ সকাল থেকে তার ফোন বন্ধ পাই। দুপুরে বাড়িতে এসে দেখি,ঘরের দরজা-জালানা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা খোলা সম্ভব হয়। এ সময় দেখি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো আমার স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ। পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান,গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় আমরা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছি। শুনেছি সে একটি বেসরকারি হাইস্কুল থেকে কিছুদিন আগে অবসর নিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্হানীয়রা জানান,যে অবস্থায় শিক্ষকের মরদেহ ঝুলন্ত দেখা যায় এই দৃশ্য মোটেও নিজেই গলায় ফাঁস দেওয়ার চিত্র নয়। এবিষয়ে চরম ভাবে সংশয় রয়েছে। তবে মেডিকেল ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হলেই তাহা পরিস্কার হবে বলে সকলের ধারণা।
এবিষয়ে সরজমিনে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্হার জোরদাবি জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: