হেলালুর রহমান জুয়েল, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: মূল্য কমানোর পরও কমেনিসোয়াবিন তেলের দাম। কিন্তু ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ানো হয়েছে চিনির। দাম বাড়ানোর মুনাফা লুটে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা,কিন্তু দাম কমানোর সুবিধা নিশ্চিত হয়নি। সোয়াবিন তেলের দাম কমানোর কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও চাটমোহরের বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল সোয়াবিন। লিটারে ১৪ টাকা কমলেও,তার ধার ধারছেন না ব্যবসায়ীরা। অথচ একদিন আগে চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষনা দেওয়ার পর থেকেই ৯০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি মহাজনের ঘরেই রয়েছে চিনির মজুদ। চাটমোহরে এই সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ। অথচ স্থানীয় প্রশাসন কিংবা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোন তৎপরতা নেই।
এদিকে দিন যতই যাচ্ছে বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে। নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত একমাস ধরে চাল,ডাল,ডিম,রসুন,আদা,মাছ,মুরগী ও সবজির দাম বেড়েই চলেছে। নি¤œ আয়ের মানুষ সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গতকাল শনিবার সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে,৬০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি মিলছেনা। মাছ ও মুরগীর বাজারও উর্ধ্বমুখি।
চাটমোহর পুরাতন বাজারে আসা ক্রেতা আসাদুজ্জামান অভিযোগ করলেন,ব্যবসায়ীরা যেন হাত-পা বেঁধে রেখেছে,তারা যে দামে বিক্রি করতে চাইবেন,সে দামেই আমাদের কিনতে হবে।
ব্যবসায়ীরা জানান,আমদানির উপর নির্ভর করে জিনিসপত্রের দাম। আমরা যে দামে কিনি,সে অনুযায়ী বিক্রি করতে হয়।
চাটমোহরে তীর সোয়াবিন তেলের ডিলার সরদার আজিজুল হক বললেন,আমরা সরকার নির্ধারিত দামেই তেল সরবরাহ করছি। খুচরা বেশি বিক্রি করা হলে,সেটা দোকানদারের দায়।
চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বিদ্যুৎ বললেন,তেলে দাম কমানোর বিষয়টি ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে,সে দায়িত্ব তার। আমরা সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে নির্দেশনা দিয়েছি।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহলের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার যুগ্ম পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান,নিয়মিত বাজার মনিটরিং কাজ চলছে। কেউ অতিরিক্ত দাম নিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: