• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সোনারগাঁও'র ইতিহাস ঐতিহ্যের অনুসন্ধানে এফবিজেওর সফর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৩১ পিএম
সোনারগাঁও ইতিহাস ঐতিহ্যের অনুসন্ধানে 
এফবিজেওর বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি সা. সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ

এজাজ রহমানঃ 
বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা পেল সোনারগাঁও। সমগ্র বাংলাদেশসহ দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসে ইতিহাস জানার জন্য। অথচ প্রধান সড়কের সম্মুখে কোন সোনারগাঁও-এর প্রবেশ মুখে কোন তরণ/স্বাগত চিহ্ন নাই। প্রধান সড়ক থেকে সোনারগাঁও প্রবেশ মুখে প্রশস্ত কোন রাস্তা না থাকায় বাস ট্রাক গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করা যায় না বিধায় আগত দর্শনার্থীদের সময় ও ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সোনারগাঁও-এর ইতিহাসের উপর প্রামান্য চিত্র ও প্রচ্ছদ কাভার করবো বলে, সেখানে গিয়ে দেখি প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় ঝড়ে পড়ছে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিহীনতায়। আগত দর্শনার্থীরা আমাদের জানায় ভারত উপ-মহাদেশের শত শত বছরের সৌন্দর্য রয়েছে এ ঐতিহ্য প্রাসাদে। অবাধ সম্ভাবনাময় সোনারগাঁও পর্যটক কেন্দ্র উন্নত বিশ্বের পর্যটক দর্শনার্থীদের মাধ্যমে সরকার বিশাল রাজস্ব বিনিয়োগ বাড়াতে পারবে বলে আমরা আশা করি। 

ঈশা খাঁ’র রাজধানী ছিল সোনারগাঁও পানাম নগরের সেই সমস্ত পত্ত্ব গুলো ঝঁকিপূর্ণ, মনে হয় যেকোন মূহুর্তে ঝড়ে পরবে ফরিদ স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন। 

২৫ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক সফরের উদ্দেশ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন এর বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দসহ ছিলেন, এফবিজেও’র প্রধান উদ্যোক্তা সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান দিপু, দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফরিদ খান, মতিঝিল রিপোর্টার্স ক্লাবে সভাপতি এজাজ রহমান, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিল। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাখি সরকার কাউন্সিলর-৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড (সংরক্ষিত-১৯) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এবং ড. মোঃ সাদী উজ জামান ব্যবস্থাপনা পরিচালক নতুনধরা গ্রুপের প্রতিনিধি সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও তিন আসনের এমপি। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন এফবিজেও চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ, সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা প্রকাশক ও সম্পাদক। সোনারগাঁও সাংবাদিক সফর অনুষ্ঠানে র‌্যাফেল ড্র, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। 

উল্লেখ্য বিষয়ের উপরে আলোচনায় সোনারগাঁও’র ইতিহাস উঠে আসে ঈশা খাঁ’র স্ত্রী সোনাবিবির নামে সোনাগাঁও এর নামকরণ করা হয়। এখানে সোনাবিবির মাজার, পাঁচবিবির মাজার, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের সমাধি, ইব্রাহীম দানিশমান্দ এর দরগা  ইত্যাদি নানারকম স্থাপনা রয়েছে। সোনারগাঁও-এ শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর অবস্থিত।   

সোনারগাঁও ছিল বাংলার মুসলিম শাসকদের অধীনে পূর্ববঙ্গের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র। এটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। এর অবস্থান ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। মধ্যযুগীয় নগরটির যথার্থ অবস্থান নির্দেশ করা কঠিন। বিক্ষিপ্ত নিদর্শনাদি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটি পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী ও উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত একটি বিস্তৃত জনপদ ছিল।

সোনারগাঁও বাংলার ঐতিহাসিক অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন রাজধানী এবং পূর্ব বাংলার একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। 

এটি একটি নদী বন্দরও ছিল। তাঁতি ও কারিগরদের বিশাল জনসংখ্যার সাথে বাংলার মসলিন বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সোনারগাঁও। প্রাচীন গ্রীক ও রোমান বিবরণ অনুসারে, এই পশ্চাদভূমিতে এম্পোরিয়াম বা বাণিজ্যিক কেন্দ্র অবস্থিত ছিল, যা প্রত্মতাত্ত্বিক করা ওয়ারী-বটেশ্বর ধ্বংসাবশেষের সাথে সনাক্ত করেছেন। অঞ্চলটি বঙ্গ, সমতট, সেন এবং দেব রাজবংশের একটি ঘাঁটি ছিল।

দিল্লি সালতানাতের সময় সোনারগাঁও গুরুত্ব লাভ করে। এটি ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ এবং তার পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহ দ্বারা শাসিত সালতানাতের রাজধানী ছিল। এখানে রাজদরবার এবং বাংলা সালতানাতের টাকশাল এবং গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে বঙ্গীয় সালতানাতের রাজধানীও ছিল। 

এসময় সোনারগাঁও বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদে পরিণত হয়। অনেক অভিবাসী ওই এলাকায় বসতি স্থাপন করে। সুলতানরা মসজিদ ও সমাধি নির্মাণ করেন। পরে এটি বারো-ভূঁইয়ার ঈসা খান এবং তার পুত্র মুসা খানের নেতৃত্বে মুঘল সম্প্রসারণকে প্রতিহত করেছিল। বারো ভূইয়াদের পরাজয়ের পর সোনারগাঁও মুঘল সুবাহ বাংলার একটি জেলায় পরিণত হয়।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে, বণিকরা পানাম পাড়ায় অনেকগুল ইন্দো-সারাসেনিক টাউনহাউস তৈরি করেছিল। ১৮৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মাধ্যমে এর গুরুত্ব শেষ হয়ে যায়। সোনারগাঁও’র ইতিহাস ঐতিহ্যের উপর বক্তব্য রাখেন এস এম মোর্শেদ তিনি বলেন সমগ্র বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যে উপর প্রতি মাসে আমাদের এফবিজেও’র সাংবাদিক সফর অব্যাহতি থাকবে। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়নের তথ্য প্রকাশ করে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image