
ষ্টাফ রিপোর্টার : নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি) ও দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আত্মসাতের উদ্দেশ্য সম্পত্তি দখল করে বিএসপির কার্যালয় স্থাপনের অভিযোগ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, কাল্পনিক, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ উল্লেখ করে বিএসপির অতিরিক্ত মহাসচিব মুফতি বাকী বিল্লাহ আল আযহারী বলেছেন, অভিযোগকারীরা আগামী ৬ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবে বিএসপি।
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অসৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও একটি মহল কর্তৃক কুরুচীপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ এবং শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বাকী বিল্লাহ আল আযহারী বলেন, 'নির্বাচন কমিশনে বিএসপির বিরুদ্ধে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে যে, বিএসপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ আঞ্চলিক কার্যালয় সমূহ অভিযোগকারীগণের পৈতৃক সম্পত্তিতে অবস্থিত। যাহা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিএসপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে অবস্থিত কোনো কার্যালয়ই অভিযোগকারীগণের এজমালী কিংবা পৈতৃক সম্পত্তিতে অবস্থিত নয়।'
তিনি আরও বলেন, 'আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে তাদের দাখিলকৃত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার পূর্বক মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে মৌখিক ও লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। অন্যথায় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।'
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারির বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে খানকা শরীফ দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনের অভিযোগ করেন তার ছোট ভাই সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি ও তার দুই বোন।
চেয়ারম্যানের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে দলের দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, 'সৈয়দ সহিদ উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনে যারা অভিযোগ দিয়েছে তাদের সবার ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আমরা গতকাল (শনিবার) সমাবেশ থেকে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছিলাম। সেটা শেষ হয়ে গেছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'মতের সঙ্গে অমত থাকতেই পারে। সমালোচনা সবাই করতে পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত চিঠি দিয়ে নিবন্ধন বাতিলের দাবি গুরুতর অভিযোগ। নির্বাচন কমিশন পাঁচবার তদন্ত করেছে। এইসব অভিযোগ করে তো নির্বাচন কমিশনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।'
সংবাদ সম্মেলনে দলটি বর্তমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচন চায় জানিয়ে ইব্রাহিম মিয়া বলেন, 'পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে কোন সরকার আছে কিনা আমার জানা নেই। ভারত আমেরিকায় যে নির্বাচন হয় সেটা তাদের নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হয়। সেই সিস্টেমে কি আমাদের দেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না? অবশ্যই পারে। বর্তমানে অনেকেই এই দাবি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) করছে, আমি মনে করি এটা সংবিধানের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তাই সংবিধানের বাইরে কোন কথা বলতে চাই না।'
তবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে দলের অবস্থান জানতে চাইলে কৌশলে এড়িয়ে যান নেতৃবৃন্দ। ইব্রাহিম মিয়া বলেন, 'আজকের সংবাদ সম্মেলনের বিষয় এটি নয়। বিষয়ের মধ্যে থেকে প্রশ্ন করলে ভালো হয়।'
এ সময় সুফীবাদ ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুফীবাদ কখনো ফ্যাসিবাদকে সমর্থন দেয় না। আমরা সুফিবাদী দল, আমরা ঘুষ, দুর্নীতি, অপকর্মের বিরুদ্ধে অতীতেও ছিলাম, বর্তমানেও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমীন ভুইয়া, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহীম মিয়া, আসলাম হোসাইন, মনির হোসেন, শোহাগ শেখ প্রমূখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: