
নিউজ ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে কম্পিউটার পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার বিপ্লবেরও সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছর থেকে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারের ফলে কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইলের ফোর-জি প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে। প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছেছে ফাইবার অপটিক্স। ডিজিটাল সংযুক্তির এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ ফাইভ-জি প্রযুক্তি পৌঁছে যাবে।
মন্ত্রী ২ অক্টোবর ঢাকার আগারগাঁওস্থ আইডিবি ভবনে ‘সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩’ শিরোনামে কম্পিউটার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিসিএস কম্পিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এএল মজহার ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার এবং সিটি আইটি মেগা ফেয়ার এর আহ্বায়ক মোঃ জাহেদ আলী ভূইয়া বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় ট্রেডবডির সময়োপযোগী ভূমিকার ফলে দেশে কম্পিউটার বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের পরিবর্তিত চাহিদার প্রয়োজনে নতুন নতুন ডিভাইসের চাহিদা মেটাতে বিক্রয় ও সেবার বিষয়টি নতুন করে এখন ভাবতে হবে। তিনি বিসিএস কম্পিউটার সিটিকে দেশের কম্পিউটার বাজারজাত ও জনগণকে কম্পিউটার বিষষে ব্যাপক সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কম্পিউটার বিপনন কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেন। মন্ত্রী বলেন, বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২৪ বছরের পথচলার ইতিহাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যোদ্ধা হিসেবে বিসিএস কম্পিউটার সিটি’র সংশ্লিষ্ট নেত্ববৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানব সম্পদ তৈরিতে কম্পিউটার শিল্প অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আসুস, দাহুয়া, ইপসন, এইচপি, হিকভিশন, ইনফিনিক্স, লেনোভো এবং এনএসআইকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনাসহ সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে স্যামসংসহ উন্নত ব্র্যান্ডের ১৬টি মোবাইল কারখানা ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মোবাইলের চাহিদা পূরণ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপরই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়িত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন এবং উৎপাদিত যন্ত্র প্রমোট ও বাজারজাত করতে নীতিনির্ধারক ও ট্রেডবডিসহ ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শতকরা সত্তর ভাগ তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আগামী পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি হবে আমাদের হাতিয়ার।
মন্ত্রী ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। ২ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই মেলা চলবে। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ১০টায় থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করা যাবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: