
নিউজ ডেস্ক: আপনি এই মুহূর্তে যার ছবি দেখছেন তার নাম জাইদ গার্সিয়া। জাইদের শরীরের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। তার পুরো মুখ বিকৃত হয়ে গেছে।
এত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও তিনি হাল ছাড়েননি। সাহসিকতার সাথে তার জীবনের এই অসুবিধা মোকাবেলা করেছেন। ছোটবেলায় তার স্বপ্ন ছিল সে পুলিশ অফিসার হবে। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ করার আগেই তার সাথে ঘটে যায় এক হৃদয় বিদারক দুর্ঘটনা। জায়েদের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১৫ সালে।
তিনি তার টেকসাস রাজ্যের গ্যালভেসটন শহরের বাড়িতে একটি মোমবাতি জ্বালিয়েছিলেন, ওই মোমবাতি থেকে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনার সময় জায়েদ কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। জ্বলন্ত আগুন তার কম্বল পর্যন্ত পৌঁছাল এবং সে তাতে আটকা পড়ল। এই দুর্ঘটনায় জায়েদের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়।এমনকি তিনি দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে ফেলেন। শুধু তাই নয়, তার কান, নাক ও পুরো মুখ পুড়ে গেছে।
এই দুর্ঘটনার পর জাইদকে টেক্সাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তাকে চতুর্থ ডিগ্রি পোড়ার চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ চিকিৎসায় তার জীবন রক্ষা পায়। তবে তিনি চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারান। জায়েদের সঙ্গে যখন এই দুর্ঘটনা ঘটে, তখন চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তিনি কখনো কথা বলতে বা হাঁটতে পারবেন না। এতে জাইদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে।
তার পর জাইদ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং এক কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। আজ তিনি একজন পুলিশ অফিসার হয়েছেন, যার স্বপ্ন তিনি ১০ বছর বয়সে দেখেছিলেন।
দুর্ঘটনার পর সুস্থ হয়ে জাইদ অন্ধ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। এখন তিনি পুলিশ অফিসার হয়েছেন। আজ তিনি কথা বলতে এবং এমনকি হাঁটতে সক্ষম। সাহসিকতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে। পুলিশ অফিসার হওয়ার দিনটি তার জীবনের অন্যতম সেরা দিন।
তিনি বলেন, আমার নিজের ওপর মোটেও আস্থা ছিল না। কারণ আমি খুব খারাপ দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম। যদিও আমি মানুষকে রক্ষা করতে ভালোবাসি। তাই আমার স্বপ্ন ছিল পুলিশ অফিসার হওয়ার।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: