• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ওটিসি বাজারের কোম্পানিতে চলছে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৭ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১৫ পিএম
পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়ার পর কিছু কোম্পানি
otc market

নিউজ ডেস্ক:   এবার অধুনালুপ্ত ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি বাজারের কোম্পানির প্লেসমেন্ট বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বন্ধ বা রুগ্‌ণ কোম্পানির মালিকানা বদল করে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়ার পর কিছু কোম্পানির মালিক মূলধন বাড়ানোর নামে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ১০ টাকার শেয়ার ২০ টাকায় বিক্রি শুরু করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে এ কাজ করছেন তারা।

এ অবস্থায় ওটিসিভুক্ত বা পুনরুজ্জীবিত করার প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমতি ছাড়া মূলধন বাড়াতে পারবে না বা প্লেসমেন্ট শেয়ার বা বিদ্যমান শেয়ার কেনা বা বেচা বা কোনোরূপ হস্তান্তর করা যাবে না- এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে যাচ্ছে।

বিএসইসির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ওটিসির রুগ্‌ণ ও বন্ধ কোম্পানি পুনরায় ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে ঘিরে শেয়ার ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ এসেছে। এতে মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, এসব কোম্পানি কমিশনের অনুমতি ছাড়া পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে না। মূলধন বাড়াতে শেয়ার মানিও ডিপোজিট নিতে পারবে না। কোনো সম্পদ বা শেয়ার মর্টগেজ বা প্লেজ করতে পারবে না। উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ করতে হবে। এসএমই বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই মোট শেয়ারের অন্তত অর্ধেক ডিমেট বা ইলেট্রনিক ফর্মে রূপান্তর করতে হবে।

ওটিসির আল আমিন কেমিক্যাল, থেরাপিউটিক্স রাঙামাটি ফুড, পারফিউম কেমিক্যাল নামক কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শর্ত সাপেক্ষে শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তরের অনুমতি দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে আল আমিন কেমিক্যালের শেয়ার কিনেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, পারফিউম কেমিক্যালের শেয়ার কিনেছেন সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরো ও তার স্বার্থ সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান, থেরাপিউটিক্সের শেয়ার কিনছে টিকে গ্রুপ এবং রাঙামাটি ফুডের মালিকানায় আসার অনুমতি পেয়েছে এক্সপো গ্রুপ। কমিশন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা পুনরুজ্জীবিত করার সন্তোষজনক পরিকল্পনা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় এরই মধ্যে মডার্ন ডাইং ও খাজা মোজাইক কোম্পানি মালিকানা বদলের যে প্রস্তাব এসেছিল, বাতিল করেছে। এ ছাড়া মার্ক এবং প্যারাগন লেদার অ্যান্ড সুজ এবং এরই মধ্যে এসএমই মার্কেটে স্থানান্তরিত ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ শর্ত ভঙ্গ করায় তাদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বা লোকসানে চলা বা নিয়মিত এজিএম না করা প্রায় ৭০টি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি শুরু হলে ২০০৯ সালে বিএসইসির নির্দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ওইসব কোম্পানি তালিকাচ্যুত করে। তবে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ বিবেচনায় সেসব কোম্পানির শেয়ার ওটিসি বাজারে লেনদেনের সুযোগ ছিল। এসব কোম্পানির মধ্যে যেগুলোর স্থায়ী সম্পদ ও কারাখানা আছে এবং পুনরায় ব্যবসায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব, সেগুলোর মালিকানা বা ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image