• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হলেন লিজ ট্রাস


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৫৪ পিএম
লিজ
ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রা্স, ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্ক:  ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লিজ ট্রাস। সোমবার তিনি চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে ঋষি সুনাককে হারিয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মঙ্গলবার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ৪৭ বছর বয়সি ট্রাস।

সিরিজ কেলেংকারির কারণে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার ছিলেন কনজারভেটিভ দলের এক লাখ ৬০ হাজার সদস্য। 

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়। এতে ট্রাস ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে ট্রাস পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। সুনক ৬০ হাজার ৩৯৯টি।

২০১৯ সালে ৬৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন৷ ২০০৫ সালে ডেভিড ক্যামেরন পেয়েছিলেন ৬৭.৬ শতাংশ ভোট। আর ২০০১ সালে ডানকান স্মিথ পেয়েছিলেন ৬০.৭ শতাংশ ভোট। ট্রাস পেয়েছেন ৫৭.৪ শতাংশ ভোট।

রোববার থেকেই অনলাইন আর ব্যালটে দেওয়া ভোটের গণনা শুরু হয়েছিলো কনজারভেটিভ ক্যাম্পের হেডকোয়াটার্সে। ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি। জানানো হয়, মঙ্গলবার ব্রিটেনের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন লিজ ট্রাস। 

মার্গারেট থ্যাচার এবং টেরেসা মের পর তৃতীয় নারী হিসেবে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হতে যাচ্ছেন ট্রাস। ট্রাসের জন্ম ১৯৭৫ সালের ২৬ জুলাই, ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে। পুরো নাম মেরি এলিজাবেথ ট্রাস। ১৯৯৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন লিজ। 

তাঁর বিষয় ছিল দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং অর্থনীতি। ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতির প্রতি আগ্রহ ছিল লিজের। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। শুরুতে লিবেরাল ডেমোক্র্যাট হিসাবে পরিচিতি থাকলেও পরে মত বদলে কনজারভেটিভ দলে নাম লেখান।

লিজের বাবা লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। মা ছিলেন নার্স ও শিক্ষিক। পরিবারে বামপন্থী আবহ থাকায় লিজের কনজারভেটিভ দলে যোগদান মেনে নিতে পারেননি তাঁর বাবা। মেয়ের হয়ে প্রচারে নামতেও রাজি হননি। মেয়ের অনুরোধে মা প্রচারে যেতে রাজি হন। 

ভোটে নয়া কর নীতিসহ নানা সংস্থার কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের মন জয় করে নেন লিজ। মূল্যস্ফীতির হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষা ও কনজারভেটিভ দলের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনা ট্রাসের অন্যতম দুটি মূল কাজ হতে চলেছে।

নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক কিছু পর্ব রয়েছে। সাধারণত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বাকিংহাম প্রাসাদে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়োগ করেন। সেটাই রীতি। এ বার তার ব্যতিক্রম হবে। 

এই প্রথম ইংল্যান্ডের বাইরে কেউ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হবেন। চলাফেরায় অসুবিধার কারণ রানি এখন স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে। নয়া নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে রানির হাত থেকে নিয়োগপত্র নেবেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image