• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ফুলবাড়ীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.এম এ কাইয়ুমের দাফন সম্পন্ন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:২০ পিএম
ফুলবাড়ীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.এম এ কাইয়ুমের দাফন সম্পন্ন

মোঃ হারুন-উর-রশীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর প্রথম এমবিবিএস ডাক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ কাইয়ুম গত মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার ‘এভার কেয়ার হাসপাতালে’ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বৎসর।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ যোহর ফুলবাড়ী গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ঈদগাহ মাঠে  মরহুমের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, পূর্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী ও ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌখস দল মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ কাইয়ুমকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করেন। পরে মরহুমের বড় জামাতা সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর এবিএম মাহাবুব এলাহী তার জানাযার নাজাম পড়ান। এসময় ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহমুদ আলম লিটন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি,সাবেক মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসার উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবাসয়ী  ও সমাজসেবক সাবেক এমপি মোঃ রেজাওনুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা আমির মোঃ আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর জেলা দক্ষিণের  বর্তমান জেলা আমির মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার প্রথম এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার। মরহুম ১৯৬৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর ১৯৬৬ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর  ১৯৬৭-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। তারপর তাঁর পিতার পরামর্শে সরকারি চাকুরি ছেড়ে নিজ উপজেলা ফুলবাড়ীতে এসে জনগনের চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। নিজ এলাকার গরীব অসহায় রোগিদের অল্প মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। একজন ভাল মানুষ, একজন দীনদার, পরহেজগার মানুষ এবং ভালো চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, ২পুত্র ৭ কন্যা রেখে যান।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image