
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান রাজপরিবারে সবশেষ আশ্রয়ও হারিয়েছেন। উইন্ডসর প্রাসাদের অভ্যন্তরের ফ্রগমোর কটেজ নামের রাজকীয় আবাসটি ছাড়তে বলা হয়েছে হ্যারি ও মেগানকে।
বুধবার (১ মার্চ) হ্যারির মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। এর ফলে ইংল্যান্ডে হ্যারির আর কোনো নিজস্ব আবাস থাকল না।
সান নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, রাজা তৃতীয় চার্লস তার ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে ফ্রগমোর কটেজটি থাকার জন্য দিতে চেয়েছেন। তবে প্রিন্স অ্যান্ড্রু ফ্রগমোর কটেজে যাওয়ার পরিবর্তে তার বর্তমান বাড়িতেই থাকতে চান। প্রিন্স অ্যান্ড্রু যৌন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মার্কিন অভিনেতা জেফরি অ্যাপস্টেইনের সঙ্গে সখ্যতা রাখায় রাজপরিবারে যাবতীয় মার্যাদা হারান।
রাজা তৃতীয় চার্লসের এ সিদ্ধান্ত হ্যারি লিখিত স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ এবং নেটফ্লিক্স প্রামাণ্যচিত্রে রাজপরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার ফলাফল হিসেবে এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সানের প্রতিবেদনে।
হ্যারি ও মেগানের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেসকে ফ্রগমোর কটেজে তাদের বাসস্থান খালি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ তবে বাকিংহাম প্রাসাদ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। রাজপরিবারের একটি সূত্র জানিয়েছে, এটি সবার সামনে আলোচনা করার মতো কোনো বিষয় নয়। এটি একেবারেই রাজপরিবারের ঘরোয়া মামলা।
দ্য সান ও ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ফ্রগমোর কটেজ’ নামের এই বাড়িটি তাঁরা ২৯ লাখ ডলার খরচ করে সংস্কার করেছিলেন। প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বিয়ের সময় হ্যারি ও মেগানকে এই বাড়ি উপহার দিয়েছিলেন।
২০২০ সালে তাদের রাজকীয় পদবী ত্যাগের পরে নতুন জীবন ও ক্যারিয়ার গঠনে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান কিন্তু ফ্রগমোর কটেজ ব্রিটেনে তাদের একমাত্র বাসস্থান ছিল। দ্য সান জানিয়েছে, হ্যারি মেগান চলে যাওয়ার পর হ্যারির চাচাতো ভাই ইউজেনি, অ্যান্ড্রুর ছোট মেয়ে এবং তার স্বামীকে এই কটেজ ব্যবহার করতে দেয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: