• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সাহসী, সংগ্রামী এক নারী কাউন্সিলর পারভীন আক্তার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০১:২৪ পিএম
সাহসী, সংগ্রামী নারী কাউন্সিলর
পারভীন আক্তার

ফারজানা মৃদুলা

নারী হলো রাষ্ট্র তথা সমাজের অর্ধাংশ। একজন মা, একজন স্ত্রী, বোন, কন্যাসহ মর্যাদাপূর্ণ সব সম্পর্কের  বন্ধনে নারীজাতি সমাজের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। 
এই কথা বর্তমানে কেউ অস্বীকার করার সাধ্য নেই বললেই চলে। 

তিনি ছিলেন একজন বিকেএসপির জিমেন্যাস্টিকস কোচ, স্বপ্ন ছিলো এক রকমের, নিজের এই প্রতিভাকে বিকশিত করবে। কিন্তু বাবার আর্দশ মানবতা, দুঃখে-সুখে জনকল্যাণে ঝাঁপিয়ে পড়া। যার বাবা এলাকার সকলের প্রানের স্পন্দন ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাবা যখন দুর্বৃত্তদের হাতে প্রান হারালো তখন নীরব প্রতিবাদে ভেতর দুমড়ে মুচড়ে একাকার।এলাকাবাসী বললো তুমিই পারবে বাবার স্বপ্ন পূরন করতে। যেমনই কথা তেমনি কাজ ।স্বপ্নের সেই স্হান ছেড়ে এলাকাবাসীর কল্যানে আলোর শিখা হাতে জ্বলে উঠলো অগ্নিকন্যা। 

১,২,৩ নং ওয়ার্ড দেশের সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর নারী কাউন্সিলর পারভীন আক্তার এর কথা বলছিলাম । যিনি কিনা এলাকার উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছে, তবু মুখের হাসি হয় না মলিন। এই উদ্দামতা কিভাবে অটুট থাকে? জিজ্ঞাসা করতেই অকপটে বলে উঠলো আমার আপনার চেয়েও আপন এলাকাবাসীর ভালোবাসা। এছাড়া জীবন সঙ্গীর অনুপ্রেরণা মনের এক বিশাল শক্তি তার।

বাবার মৃত্যুর পর নিজেকে জনপ্রতিনিধি করতে ২০১৩ সালে  গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর প্রতিষ্ঠালগ্নে ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। এরপর ৫ বছর বিরতির পর ২০২৩ সালে  চশমা মার্কা নিয়ে আবারো সিক্ত হলো জনগনের ভালোবাসায়। আর এখন সেই সচ্ছ চশমা দিয়ে দেখতে চান সকলের সুখ দুঃখ।
কিন্তু অবাক করা দিক হলো এই পারভীন আক্তার তিনি যে মাঝে ৫ বছর নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারেন নি, এতে কোন আক্ষেপ কিংবা কারোর ওপর কোন দোষারোপ নেই।নেই ভোটকারচুপির অভিযোগ ।বললেন হয়ত আমার কোন ভুল ছিলো তাইতো জনগন আমায় দেখতে চান নি এইটা আমার জন্য বড় শিক্ষা ছিলো।

আমি আমার ভুলগুলো শুধরে আবারো আমার জনগনের মনে জায়গা করেছি এটাই আমার প্রাপ্তি। এই সাহসী নারীর একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো গার্মেন্স কর্মীদের ও এলাকাবাসী  সুবিধার জন্য কবরস্থান করবেন, বিশেষ করে গার্মেন্টস কর্মীদের কেউ মারা গেলে বহু দূর নিয়ে যেতে হয়, কেননা বিভিন্ন স্হানের লোকের সমাগম গার্মেন্টস শিল্পে, সেই মানুষগুলোর আবদার তার মনে দাগ কেটেছে ,খুব সহজ ছিলো না সেই কথা রাখার বিষয়টি । কিন্তু নির্বাচনের ১/২ মাসের মাঝেই সেই কথাটি রাখতে পেরে তার মন আজ আনন্দের সীমা নেই।

এই সাহসী নারীরা সমাজে আছে বলেই আজও কানে বাজে বিজয়ের ধ্বনি। পারভীন নামের অর্থগুলোর মাঝে একটি হলো পথ দেখানো। আসলেই এই নামের অর্থটা বহন করে চলছেন তিনি সকলের ভালোবাসা পেয়ে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image