আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বুধবার (২৭ এপ্রিল) সামরিক জান্তা শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে।
জানা যায়, মিয়ানমারের জান্তা সরকার সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে মোট ১১টি অভিযোগ এনেছে, তার মধ্যে এটি ছিল প্রথম মামলায় সাজার রায়। ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার এবং ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার মামলায় বুধবার (২৭ এপ্রিল) এ রায় দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার (২৫ এপ্রিল) এই মামলার রায় হওয়ার কথা থাকলেও, তা স্থগিত করেন মিয়ানমারের আদালত। অনেকের ধারণা ছিল, মামলাটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৫ বছরের জেল হবে সু চির।
২০২১ সালের শুরুর দিকে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে পাঁচ বছর মিয়ানমারের নেতৃত্ব দেন অং সান সু চি। এরপর তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৮টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে সম্মিলিতভাবে সর্বোচ্চ ১৯০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর। তবে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সু চি।
ওয়াকিবহাল একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সু চির বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই এই রায় দেন আদালত। যদিও এই বিচার কার্যক্রমের বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। কারণ, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোয় সামরিক জান্তার বিশেষ আদালতে সু চির রুদ্ধদ্বার বিচার হচ্ছে। সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিষেধ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সু চির আইনজীবীর কথা বলার ওপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: